বিয়ে নিয়ে প্রায়শঃই মারামারির ঝামেলার ঘটনাও সামনে আসে। কখনো কখনো দেখা যায় বর অল্প কোনো কিছুতে রেগে যায়, আবার কখনো কনে কোনো বিষয়ে রেগে যায়। এমন পরিস্থিতিতে মাঝে মাঝে ব্যাপারটা এতটাই বেড়ে যায় যে বিয়েটাই আর হয় না শেষ পর্যন্ত, ভেঙে যায়। অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় ব্যাপারটা কিন্তু খুবই সামান্য, একটু ধৈর্য্য সহকারে সমাধানের চেষ্টা করলেই সমস্যা এড়ানো যেত। কিন্তু তা হয় না। কারণ সবাই নিজের নিজের ইগো নিয়ে চলে। এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে। একটি ছোটখাটো বিষয় বাড়তে বাড়তে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। একেই বোধহয় বলে তিল থেকে তাল হওয়া। হট্টগোল এতটাই বেড়ে গেল যে বর রেগেমেগে গেল। শুধু তাই নয়, নিজের বিয়ে ছেড়েও চলে গেল।
কিভাবে শুরু হয়েছিল:
এটি গাজিয়াবাদের লোনির ঘটনা। যেখানে ঘটনাচক্রে মেয়ের বন্ধুরা বরের বন্ধুর গায়ে চিনির শরবত ফেলে দেয়। তারপর আর কি বাকি ছিল। এই নিয়ে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায় এবং সেখান থেকে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল মারামারি হয়। এমনকি বিয়ের জন্য প্রস্তুত মঞ্চেই শুরু হয় মারামারি। বিষয়টি এতটাই বেড়ে যায় যে সেখানে পুলিশ ডাকতে হয়।
বর ফিরে যায়:
বর যখন তার বিয়েতে এসব ঘটতে দেখেন, তখন কনের গলায় মালা না দিয়েই রাগে ফিরে আসতে চায়। এরপর পুলিশ ও সেখানে উপস্থিত লোকজন তাকে বুঝিয়ে বিয়েতে ফিরিয়ে এনে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। বুধবার রাতে মহা আড়ম্বর সমেত শোভাযাত্রা নিয়ে বানতলার একটি বিয়ে বাড়িতে পৌঁছেছিলেন বর। প্রথমে সবকিছু ঠিক ছিল। মঞ্চে বসে ছিলেন বর ও তার বন্ধুরা।
ঘটনাক্রমে ছিটানো চিনির রস:
অতঃপর রসগোল্লা পরিবেশনের সময় রসগোল্লার রস, ঘটনাক্রমে বরের এক বন্ধুর গায়ে পড়ে যায়। মেয়ে পক্ষের এক যুবকের হাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রথমে বাকবিতন্ডা হয়, তারপর শুরু হয় মারামারি। বর ও তার বন্ধুরা তখন উঠে সেই অনুষ্ঠান বাড়ী থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। গণ্ডগোলের খবর যায় পুলিশের কাছে। তারা সেখানে পৌঁছয় পরিস্থিতি শান্ত করতে। এরপর পুলিশ উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে বিয়ে করিয়ে দেয়।