Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলে সেজে আলাপ! প্রেমিকের সাথে দেখা করেই চক্ষু চড়কগাছ তরুণীর

সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় লুকিয়ে সম্পর্ক করার কারণে গুরুতর শাস্তি পেতে হলো । প্রচণ্ড মারধর করা হলো ওই সমকামী তরুণী কে এক খুঁটিতে বেঁধে। অবশেষে পুলিশ সেখানে গিয়ে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদহের বিমল দাস কলোনি এলাকায়।

পুরো যেন সিনেমা। নিজেকে ছেলে হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রথমে ওই নাবালিকার সাথে বন্ধুত্ব করেন ওই সমকামী তরুণী। পুরাতন মালদহের সাহাপুর পঞ্চায়েতের বিমল দাস কলোনির এক মাধ্যমিক পড়ুয়া তাঁর প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া দেন। মিডিয়াতে তাদের মধ্যে কথাবার্তা চলছিলো বেশ কিছুদিন ধরে । অবশেষে একদিন দেখা করার প্লান করেন দুজনেই।

দেখার সাথে সাথেই সমস্যা শুরু হয় দুজনের মধ্যে । নবালিকা ওই তরুণের সাথে দেখা করে বুঝতে পারেন যে নিজের পরিচয় গোপন করে ওই তরুণী ছেলে পরিচয় দিয়ে তার সাথে সম্পর্ক তৈরী করতে চেয়েছেন। এতদিন থাকে ছেলে বেবি সম্পর্কে এগিয়েছিল ওই নাবালিকা। এটাই মনে করা হচ্ছে যে ওই তরুণী সমকামী মনোভাব সম্পন্ন আর তার থেকেই এটা করেছে ওই তরুণী। ওই তরুণী নাবালিকার সঙ্গে দেখা করতে পুরাতন মালদহের বিমল দাস কলোনিতে এসেছিলেন।

ঘটনা কিছুতে জানাজানি হওয়ার পরই ওই এলাকার লোকে ওই তরুণীকে খুঁটির সাথে বেঁধে ফেলে । এরপরই তার উপরে শারীরিক অত্যাচার শুরু হয় । আমি এলাকার কয়েকজন ওই তরুণীকে নারী পাচারকারী সন্দেহে প্রচণ্ড মারধর করেন । এলাকারই এক দোকানের সামনে খুঁটিতে বেঁধে ওই তরুণীকে মারধর করতে থাকে সেখানকার মানুষ। এই ঘটনার কথা জানতে পেরে পরে এলাকায় পৌঁছোয় পুরাতন মালদহ থানার পুলিশ। ওই তরুণীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী , ইংরেজবাজারের অমৃতি পঞ্চায়েতের বটতলী এলাকায় ওই তরুণীর বাড়ি। ফেসবুকের মাধ্যমে সাহাপুরের ওই নাবালিকার সঙ্গে সমকামী মানসিকতা থেকেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। তবে সাহাপুরের নাবালিকার সঙ্গে ফেসবুকে ছেলে পরিচয় দিয়েই প্রেমের সম্পর্ক শুরু করেন তরুণী।

এদিকে, পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে ওই নাবালিকার তাঁদের প্রকৃত বাড়ি হবিবপুর থানা এলাকায়। ওই মেয়েটি সাহাপুর পঞ্চায়েতের বিমল দাস কলোনিতে মামা বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল কিছুদিন আগেই। ওই ‘সমকামী’ তরুণীও মেয়েটির সঙ্গে এরই সুযোগে দেখা করতে সেখানে পৌঁছোয়। এলাকার লোকজন ধরে ফেলে বিষয়টি জানাজানি হতেই। নারী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে প্রথমে মারধর শুরু হয়। তবে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেন আসল ঘটনা সামনে আসতেই।

Related posts

রোজ স্ত্রীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে চলত নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণ! কাশীপুরের ব্যাক্তির কীর্তিতে চাঞ্চল্য

News Desk

ভয়ানক কিং কোবরা সাপ গলায় জড়িয়ে উদ্দাম নাচ বৃদ্ধের! এক ছোবলেই চূড়ান্ত পরিণতি

News Desk

জাতীয় স্তরে সোনার মেডেল জেতা পেটের টানে তিলে তিলে শেষ হচ্ছে আরও এক প্রতিভা

News Desk