Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

আলাদা আলাদা ছেলের সাথে দুবছরে পাঁচবার পালালো নাবালিকা! হিমশিম খাচ্ছে দিনমজুর পরিবার

বেশ কয়েকদিন হল মাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। আরে এই সদ্য মাধ্যমিক পাস করা নাবালিকা ছাত্রীটি প্রেমের কারণে বহুবার বাড়ি থেকে পালিয়েছে। তবে যতবারই সে পালিয়েছে কোন একজনের হাত ধরে সে পালায় নি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন সঙ্গীর হাত ধরে সে পালিয়েছে। আর তা হয়েছে মাত্র বছর দুয়েকের মধ্যেই। অবশ্য একবারও তার প্রেম পূর্ণতা পায়নি। প্রতিবারই ভিলেন হিসেবে এসেছে পরিবার এবং পুলিশ! যতবার সে পালিয়েছে ততবারই তার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে এবং পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে। ভাতার থেকে দিন দুয়েক আগেও নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বর্তমানে ওই নাবালিকাকে বাড়িতে ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে তার পরিবার এবং সবথেকে অবাক করা ব্যাপার হল শেষ পাঁচ বছরে বর্ধমান জেলার ভাতার থানার পুলিশ তাকে এতবার গ্রেফতার করেছে এবং পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে এখন তারাও ক্লান্ত ।

সাধারণত প্রেমের ফাঁদে ফেলে মেয়েদের বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে রোমিওদের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেরকম কিছু ঘটেনি ভাতারের এই নাবালিকার ক্ষেত্রে। উল্টে এটাই বলা যায় যে ক্ষেত্রে বিপরীত ঘটনা ঘটেছে। নাবালিকা ফেসবুকে তার থেকে কম বয়সী ছেলেদের সাথে বন্ধুত্ব করে এবং তাদের সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে থাকে । প্রথমে তাদের ফোন নাম্বার নিয়ে এসএমএসে কথা বলা শুরু করে তারপরে তাদের সাথে ফোনে কথা বলা শুরু করে। তারপর বিয়ে করে সংসার করবে এমন স্বপ্ন দেখি সেই ছেলের হাত ধরে বাড়িতে ত্যাগ করে সে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ এমনটাই জানিয়েছে। গত দু-বছরে নাবালিকা এভাবেই ৫ বার ঘর ছেড়েছে।

যদিও প্রত্যেকবারেই মেয়ের খোঁজ পেতে নাবালিকার পরিবার ভাতার থানার দ্বারস্থ হয় এবং নাবালিকাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে ভাতার থানার পুলিশ। এবারে বাড়ি থেকে উধাও হয়েছিল নাবালিকা গত রবিবার । তারপর ভাতার বাজার থেকে সোমবার তাকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। এর আগেও নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছিল ভাতার, মন্তেশ্বর এলাকা থেকে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ওই নাবালিকা ভাতার থানার আমিনা গ্রামের বাসিন্দা। সে প্রথম থেকেই এমনটা ছিল না। আগে কখনও তাকে সেভাবে ছেলেদের সঙ্গে মেলামেশা করতে দেখা যায়নি। হঠাৎ করেই বেপরোয়া হয়ে গিয়েছে যেন। পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালে ৩ বার, ২০২১ সালে একবার এবং ২০২২ সালে এখনও পর্যন্ত একবার প্রেমের টানে ঘর থেকে বেরিয়েছিল নাবালিকা। লজ্জায় মুখ দেখানো দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে দিনমজুর পরিবারের মেয়ের এই কীর্তিতে।

Related posts

একসঙ্গে মরতে চেয়ে তরুণীর বিষ পান.. অথচ প্রেমিক.. ঘটনায় সাসপেন্ড পুলিশ ইন্সপেক্টর

News Desk

জাল ভ্যাকসিন নিয়ে কেমন আছেন মিমি চক্রবর্তী? ভ্যাকসিনের বদলে সাংসদের দেহে কি প্রয়োগ হল?

News Desk

ঠিক যেন ‘মানব শিশু’। অবিকল মানুষের মত দেখতে বাচ্চার জন্ম দিল ছাগল!

News Desk