Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

দৈত্যাকৃতি ফুলকে ঘিরে রহস্য বর্ধমানে, রাত হলেই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ফুল থেকে

বিশাল আকৃতির ফুলকে (Flower) ঘিরে বিশাল চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে বর্ধমানে (Burdwan)। একটি বিশাল আকৃতির ফুল যা থেকে কিনা রাত হলেই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এমন ফুলকে কেন্দ্র করে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।

ফুলের আকৃতির বিশাল যা প্রায় দেখাই যায় না? এমন ফুল দেখলে চোখ তো কপালে উঠবেই। আর এই ফুলকে ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়াল বর্ধমানে। তার উপরে এই ফুল থেকে আবার নাকি এমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে যাতে নাজেহাল এলাকাবাসী। রাত হলেই নাকি সেই দুর্গন্ধ নাকে আসছে। যার জেরে টেকা দায় সেই এলাকার বাসিন্দাদের। বর্ধমানের ইদিনপুর এলাকায় ঘটেছে এমন ঘটনাটি। খবর ছড়িয়ে পড়তেই আসে পাশের এলাকার মানুষের মধ্যেও ফুলটিকে নিয়ে আগ্রহ বাড়ে। ফুলটি দেখে চক্ষু চড়কগাছ সবারই।

বর্ধমানের ইদিনপুরে এই ফুলকে ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। এটি আদৌ কি ফুল না কি কোনো ফল, এর পরিচয় নিয়ে ধন্ধে সকলে। একটি গাছের তলায় বেশ কিছুদিন ধরেই ধীরে ধীরে ফুলিটিকে বড় হতে দেখেছেন সকলে। প্রথম প্রথম সেভাবে কারও নজর না পড়লেও হটাৎ ফুলটি বড় হয়ে যাওয়ায় খেয়াল করেন সকলই। রাত হলেই এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কিন্তু দিনের বেলায় সেই দুর্গন্ধ আর পাওয়া যাচ্ছে না। দুর্গন্ধের কারণ খুঁজে বার করতে গিয়ে এলাকা বাসি দেখতে পান, একটি গাছের গোড়ায় গাঢ় বাদামি রঙের বিশাল বড় একটি পাপড়ির মতো ছড়ানো বস্তু। যার থেকেই নাকি দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা বলছে, এটি আমোরফোফ্যালাস টাইটেনাম নামের একটি ফুলগাছ। বিজ্ঞানীদের মতে, এই ফুল থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। তাই অনেক সময় এটিতে মৃত ফুল ও পচা ফুল হিসেবে বলা হয়। এই ফুলের পুষ্পমঞ্জরি ৩ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। অনেক সময় মাটি থেকে ওল তোলার পর ওলের শিকড়ের কিছুটা অংশ মাটির ভিতরে থেকে যায়। পুনরায় ফের ওল জন্মাতে পারে যাতে সেই জন্যই পুষ্পমঞ্জরী তৈরি হয়। তবে এই ঘটনা খুবই বিরল, প্রায় ১২ থেকে ১৪ বছর এমনটা ঘটে। বর্ধমানের এই ফুলটির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। 

Related posts

বই পড়লেই মকুব হয় সাজা! বিশ্বে একমাত্র এই দেশের কারাগারেই রয়েছে এমন আশ্চর্য নিয়ম

News Desk

গঙ্গাবক্ষে কলকাতা আর শহরতলি দর্শন, নভেম্বর থেকে ক্রুজে ভ্রমণের সুযোগ নিয়ে এল IRCTC

News Desk

মানিব্যাগে টাকা খরচ হয়ে যায়, এই ক’টি সামান্য জিনিস রাখুন, কখনও টাকার অভাব হবে না

News Desk