হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটল ফের পাকিস্তানে। পঞ্জাব প্রদেশে মন্দিরের একাংশ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এই কাজ উত্তেজিত জনতা করেছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার এই হামলার ঘটনা ঘটেছে রহিমা ইয়ার খান জেলায় । যেখানে মন্দিরে ঢুকে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা।
পাকিস্তানের ভোঙ্গ শহরে এক গণেশ মন্দির ঘিরে প্রবল ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে সেখানে হামলা চালায় আততায়ীর দল যা প্রকাশ্য ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ।
ভারত পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের অন্তর্গত এই গণেশ মন্দিরে হামলার ঘটনা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিল। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের অফিশিয়ালকে তলব করেছে এস জয়শঙ্করের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক ঘটনার জেরে। বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানালেন, ইতিমধ্যে সেই ‘নিন্দনীয় ঘটনা’-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে পাকিস্তানি হাইকমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কূটনীতিবিদকে তলব করে।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়ে দেন, এই ধরনের হামলার ঘটনার কড়া নিন্দা করছে ভারত। তিনি বলেন, ”আমারা উদ্বেগ প্রকাশ করছি,ধর্মীয় স্বাধীনতা ও তাঁদের ধর্মীয় উপাসনালয়ের উপরে এই নিন্দনীয় ঘটনা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ক্রমাগত হামলায় ।”
সেই সঙ্গে তিনি জানান, ভারত উদ্বিগ্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় গণেশ মন্দিরের ভাঙচুরের ঘটনার কথা জানতে পারার পর থেকেই। কেবল মন্দিরই নয়, আশপাশের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িগুলির উপরও হামলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এরপরই পদক্ষেপ নিতে শুরু করে দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। নিজের টুইটার হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ”ভঙ্গের গণেশ মন্দিরে হওয়া হামলার তীব্র নিন্দা করছি। ইতিমধ্যেই আমি পাঞ্জাবের আইজিকে নির্দেশ দিয়েছি সমস্ত দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করতে এবং পুলিশের গাছাড়া মনোভাবের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে। সরকারের তরফেই ফের গড়ে দেওয়া হবে মন্দির।”
যে ভোঙ্গ শহরে হামলা হয়েছে, তা লাহোর থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দূরে। বহু দশক ধরে ভোঙ্গে-তে শান্তিতে একসঙ্গে বাস করে হিন্দু-মুসলিমরা। গত সপ্তাহে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায় একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে । অভিযোগ, আট বছরের এক শিশু মাদ্রাসার লাইব্রেরিতে প্রস্রাব করতেই যাবতীয় অশান্তির সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে হিংসার আগুন শহরে ছড়িয়ে পড়ে।
গতকাল ওই বালককে গ্রেফতার করা হলেও নাবালক হওয়ার কারণে সে জামিন পেয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মন্দিরের ভাঙচুরের ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে।