করোনার টিকার দুটি ডোজ নিলে আর বাধ্যতামূলক নয় মাস্ক (Mask) পরা, চলতি বছরের মে মাসে এমনটাই জানিয়েছিল আমেরিকার (America) স্বাস্থ্য বিভাগ সিডিসি (CDC)। টীকাদানের কর্মসূচির পর পৃথিবীতে প্রথম তারাই মাস্ক পরা নিয়ে এই ছাড়পত্র দিয়েছিল। কিন্তু তিন মাস যেতে না যেতেই নিজেদের বক্তব্য থেকে তাদের সরে দাড়াতে হলো। জানিয়ে দেওয়া হল এখনই ফেরা যাবে না করোনা পূর্ববর্তী স্বাভাবিক জীবনে। মাস্ক খুলে যেখানে সেখানে ঘোরাও যাবে না। এমনকি টিকার (Vaccination) দুটি ডোজ নেওয়া হয়ে গেলেও না! এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে আমেরিকার (America) স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা। তাঁদের কথায়, সংক্রমণ রোধে ‘ইনডোর সেটিং’ (Indoor Settings) এ মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। যাঁরা টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন তাঁদেরও পরে চলতে হবে মাস্ক। কিন্তু ‘ইনডোর সেটিং’ বলতে ঠিক কি বোঝানো হয়েছে? চার দেওয়ালের মধ্যের কোনো জায়গা যেখানে অনেক মানুষ একসাথে একত্রিত হন, এমন জায়গা। যেমন অফিস, স্কুল, অডিটোরিয়াম সিনেমা হল ইত্যাদি।
কিন্তু হঠাৎ মাস্ক পড়া নিয়ে নিজেদের বক্তব্য -এর অবস্থান বদল করতে হল কেন আমেরিকার স্বাস্থ্য সংস্থা সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (Centers for Disease Control and Prevention) কে? এই সংস্থার ডিরেক্টর রচেল ওয়ালেনস্কি (Rochelle Walensky) জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। বিভিন্ন প্রান্তে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। আবারও বাড়ছে সংক্রমনের গ্রাফ। তাই ফের মাস্ক পড়ার নির্দেশিকা দেওয়া হল।
স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বলেন যে যদিও সম্পূর্ণভাবে টিকা দেওয়া ব্যক্তিরা খুব অল্প পরিমাণে ভাইরাসের বাহক হয়। তবুও, কিছু ভ্যাকসিন নেওয়া লোকেরা ভাইরাসটির অনেক বেশি মাত্রায় বহন করতে পারে যা আগে বোঝা যায়নি এবং তাদের থেকে অন্যদের মধ্যে এটি সম্ভবত বেশী সংক্রমণ ছড়ায়।
সিডিসির ডিরেক্টর ওয়ালেনস্কি জানিয়েছেন ” করোনা ভাইরাসের ডেল্টা স্ট্রেনটি অতীতের স্ট্রেনের তুলনায় আলাদা আচরণ করছে, দেখা যাচ্ছে যে ডেল্টা ভেরিয়েন্টে ভ্যাকসিন সম্পূর্ন হলেও সংক্রমিত করতে পারে, এবং ভ্যাকসিনযুক্ত ব্যাক্তি ডেল্টা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অন্যদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়েও দিতে পারে।”
উল্লেখ্য, ওয়াশিংটনেও ফের দ্রুত বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সেই কথা মাথায় রেখে হোয়াইট হাউসের সমস্ত কর্মচারীকে ভ্যাকসিন সম্পূর্ন হলেও মাস্ক পরে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।