মহারাষ্ট্রের নাগপুরের (Nagpur) পরিবহন ব্যবসায়ী ব্যক্তিগত ৮৫ লক্ষ খরচ করে হাসপাতালে হাসপাতালে ৪০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন (Oxygen) সরবরাহ করেছেন। আর স্থানীয় প্রশাসন এর জন্য তাঁকে টাকা দিতে চাইলেও তিনি নেননি। কিন্তু এই ব্যাবসায়ি তার জীবনের শুরুটা করেছিল রেল স্টেশনের বাইরে কমলালেবু বিক্রি দিয়ে ,আজকের কোটিপতি পেয়ারে । এখন যেন নাগপুরের ত্রাতার ভূমিকায় তিনিই । এনার নাম প্যায়ারে খান।
করোনাকালে পেয়ারেকে ভাবিয়ে তোলে শহরে অক্সিজেনের অভাব । হাসপাতালে হাসপাতালে অক্সিজেনের চাহিদা বাড়ছে কিন্তু জোগান সেই তুলনায় অপ্রতুল। তাই নিজের মতো করে অক্সিজেন যুদ্ধে নেমে পড়েন তিনি , মুমূর্ষু রোগীদের পাশে দাঁড়াতে । অক্সিজেন ট্যাঙ্কার এনে নাগপুরের হাসপাতালে পৌঁছে দিতে শুরু করেন পেয়ারে , বরেলি, রাউরকেল্লা, ভিলাইয়ের মতো শহর থেকে বাজার মূল্যের থেকে বেশি টাকা দিয়ে । এখনও পর্যন্ত তিনি ৪০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন এনেছেন শহরে বলে জানা গিয়েছে । পেয়ারে বলেন, পবিত্র রমজান মাসে তাঁর কর্তব্য মানুষের পাশে দাঁড়ানোটা ।
আসলে হয় তো নিজের অতীতটা ভোলেননি পেয়ারে খান । নাগপুরের তাজ বাগের বসতিতে ছোটবেলা কেটেছে । উপার্জন শুরু ১৯৯৫ সালে কমলালেবু বিক্রি দিয়ে । পরে শুরু করেন অটোরিক্সা চালাতে । সেখান থেকে পরিবহন ব্যবসায় ঢোকেন আস্তে আস্তে । আজ ৩০০ ট্রাকের মালিক তিনি । তাঁর কোম্পানির সম্পত্তি এখন ৪০০ কোটি টাকা। তবে এখন নাগপুর কেন গোটা ভারত তাঁকে চিনে গিয়েছে তাঁর ত্রাতার ভূমিকার জন্য, তাঁর সম্পত্তি নয় ।
কথায় বলে মানুষের কাজ তার পরিচয় তৈরি করে , নাম ,খ্যাতি যশ সব কিছু এনে দেয় মানুষের কাজ । তাই পেয়ারে খান তার কাজের মধ্য দিয়ে মানুষের মনে ভরসা জুগিয়ে ফেলেছেন । তার টাকা ,সম্পত্তি অনেক থাকলেও তিনি তার এই উদার মনস্কতা আর মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে নিজের পরিচয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন ।
নাগপুর হাসপাতালে আজ অক্সিজেনের অভাব মেটানোর দায়িত্বে যেভাবে পেয়ারে খান কে মানুষ পেয়েছে ,এভাবেই যেন এদেশের বাকি শহরে পেয়ারে খানের মত মানুষ পাশে থাকেন।