সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে অজ্ঞাত মহিলাদের সাথে সেক্স চ্যাট ভিডিও কলে নানা যৌনতামূলক ক্রিয়া-কলাপ করে বিপাকে ব্যাক্তি। জানা গেছে এইভাবে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন ত্রিশ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। জানা গেছে ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে বহু অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার থেকে আসতো বন্ধুত্বের প্রস্তাব। সেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করলেই শুরু হতো ঘনিষ্ঠ ইঙ্গিতপূর্ণ কথাবার্তা। সেই আলাপ বেশিদিন সময় নেই তো না সেক্স চ্যাট শুরু করতে। সেক্স চ্যাট থেকে ভিডিও কলে নিজের গোপনাঙ্গ দেখানো প্রায় সবকিছুই হত। আর এই সমস্ত কর্মকান্ডের জন্যই ফাঁদে পড়লেন যুবক। শিকার হলেন সেক্সটরশনের (Sextortion)।
জানা গেছে ভিডিও কলে সেক্স চ্যাট করার সময় লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে যুবকের অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে অভিযোগকারীকে টাকার দাবিতে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে সেই অজ্ঞাত পরিচয় মহিলারা। শুধু তাই নয়, অভিযোগকারী ব্ল্যাকমেইলারদের দাবি মতন টাকা মেটানোর চেষ্টায় উপার্জনের চেষ্টায় গিগোলোর কাজ খোঁজার চেষ্টা করলে তিনি দ্বিতীয়বারও প্রতারিত হন। অভিযোগের ভিত্তিতে মুম্বাই পুলিশ একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
ভুক্তভোগী যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন যে তাকে ফেসবুকে নীলম কুমারী এবং অঞ্জলি শর্মা নামে দুই মহিলা ফ্রেন্ডশিপ রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিলেন। যুবক সেই রিকোয়েস্ট গ্রহণ করেন। কয়েকদিন চ্যাট করার পর মহিলারা ওই যুবককে অশ্লীল ভিডিও চ্যাট করার প্রস্তাব দেয়। শুরু হয় ভিডিও কলে যৌনতা। মহিলার কথামতন নিজের গোপনাঙ্গ প্রদর্শন করেন যুবক। এই ভাবেই অভিযোগকারী যুবক ফাঁদে পড়ে। এরপরে ওই মহিলারা তার অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয় এবং তার কাছে টাকা দাবী করতে থাকে।
প্রাথমিকভাবে অভিযোগকারী ৮ হাজার টাকা দেন। কিন্তু পরে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এর পর এক ব্যক্তি তাকে ফোন করে জানান যে তিনি দিল্লি পুলিশের ইন্সপেক্টর। ফোনকারী ওই যুবককে জানান, তার অশ্লীল ভিডিও ইউটিউবে রয়েছে। এটি অপসারণ করতে তাকে অর্থ প্রদান করতে হবে। ওই যুবক ৬০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু টাকার দাবি বাড়তে থাকায় তিনি উপার্জনের উপায় খুঁজতে থাকেন। এই সময়ে, একটি অনলাইন বিজ্ঞাপনে গিগোলো (পুরুষ পতিতা) হিসাবে কাজ করার জন্য তাকে বড় টাকার টোপ দেওয়া হয়েছিল। ওই যুবক পুরুষ পতিতা হিসাবে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট নম্বরে যোগাযোগ করলে তার কাছ থেকে কাজ দেওয়ার নাম করে ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু তারপরে আর তাকে কোনো কাজও দেওয়া হয় না। এরপর যুবক দুটি ঘটনাই থানায় জানান। কথোপকথনের জন্য ব্যবহৃত ফোন নম্বর এবং টাকা সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অভিযুক্তের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে পুলিশ।