কুসংস্কার মানুষকে ঘিরে রেখেছে চারিদিক থেকে। এমন অনেক মানুষ আছেন যারা অসুস্থ হলে চিকিৎসার বদলে এই কুসংস্কারের দিকে ঝুকে পড়েন। এই যেমন গুপ্তরোগের চিকিৎসা করা হয় পুরুষ এবং মহিলা দুজনেরই। এর সাথে সন্তাণহীন মহিলাদেরও চিকিৎসা করা হয় বলে পোস্টার পড়েছে। আর কুসংস্কার থাকার বসেই এক মহিলা ওই পোস্টার দেখে কবিরাজের কাছে নিজের চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন কিন্তু সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয় বকে অভিযোগ। এই নিন্দনীয় ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায় ঘটেছে।
ওই ভন্ড কবিরাজ হারোয়ার রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘরভাড়া নিয়ে এসব কুকীর্তি করছিলেন। ওই কবিরাজ ঠাকুরদা নাম নিয়ে এসব ভণ্ডামি করে বেড়াতেন। ওই ভন্ড কবিরাজের কাছে ওই এলাকারই এক সন্তানহীন দম্পতি উপায় জানতেই গিয়েছিলেন। আর সেখানেই ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে ওই ভন্ড কবিরাজ।
গৃহবধূর অভিযোগ, তারা সেই কবিরাজের ঠিকানায় সন্তান হওয়ার জন্য চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। তারা পৌঁছানোর পরই তার স্বামীকে হলুদ আনতে বলেন, আর তিনি ওই হলুদ আনতে প্রায় ৪কিলোমিটার দূরে গিয়েছিলেন। আর ওই ভন্ড কবিরাজ এই ছুতোয় তাকে ধর্ষণ করে। ওই কবিরাজ আগের থেকেই এসব ছক কষে রেখেছিলেন, আর সেই ছক মতই কাজ চালান বলে অভিযোগ। ঘটনার সময় ওই মহিলার চিত্কার শুনে আসে পাশের মানুষ সেখানে ছুটে আসে। ওই স্থানীয় বাসিন্দারাই তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে গেছেন।
এই ঘটনায় ওই দম্পতি অভিযোগ করেন দেগঙ্গা থানায়। অভিযোগ পেয়েই সেখানে পুলিস এসে ওই কবিরাজকে আটক করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনা নিয়ে ওই বাড়ির মালিক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ওই মহিলাকে ঘটনার কথা জিজ্ঞাসা করলাম। বললেন, এর আগেও এসেছে। আজ ওর গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। এবার ওই কবিরাজকে আর রাখব না।