দোকান বাজার করার সময় আমাদের সকলের মনেই থাকে এক চিন্তা। কতদিন ঠিক থাকবে এই খাবার? কেন না বেশী কিনে বেশী করে মজুত করে রাখলেও তো আসে দুশ্চিন্তা। কেনোনা কিছুদিন পার হলেই পচন ধরবে সেই সব খাবারে। বা গজাবে ছত্রাক। নষ্ট হয়ে যাবে খাবার দাবার।
তাই নষ্ট হয়ে যাবে না তো? এই দুশ্চিন্তা থেকেই কোনো খাবারের মেয়াদোত্তীর্ণের সময় দেখেন সকলে৷ তবে জানেন কি , পৃথিবীতে এমন কিছু প্রাকৃতিক খাবার রয়েছে যা অনায়াসে দশ থেকে কুড়ি বছর পর্যন্ত নিশ্চিন্তে রেখে দিতে পারেন৷ পচন ধরবে না বা ছত্রাক গজাবে না সেই সব খাবারে।
জেনে নিন, এমন ৮টি খাবারের হদিশ যা কখনো বা সহজে নষ্ট হয় না।
মধু
খাঁটি মধু একমাত্র খাবার যা নাকি কখনো নষ্ট হয় না৷ মধুর রাসায়নিক বিন্যাস এমনই যে মধুতে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিতে পারে না। ফুলের পরাগ রেণু আর মৌমাছির শরীর থেকে নিঃসৃত এক বিশেষ ধরনের ‘এনজাইম’ মধুতে উপস্থিত থাকার কারণেই নাকি মধুতে ব্যাকটিরিয়া বাসা বাঁধতে পারে না৷ এমনকি আড়াই তিন হাজার বছরের পুরোনো মিশরের পিরামিড আবিষ্কারের সময় মমির সঙ্গে কাচের জার ভর্তি মধু পেয়েছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। যা নষ্ট হয়নি
সাদা চাল
আদ্রতা বিহীন কোনো জায়গায় কম তাপমাত্রায় সাদা চাল রেখে দিলে তা ত্রিশ বছরেও নাকি নষ্ট হবে না। চাল রাখতে হবে শুকনো প্লাস্টিক বা কাচের জারে। এতে করে চালের আঘ্রাণ বা খাদ্যগুণের কোনো পরিবর্তন হয় না৷ তবে লাল চাল এতদিন টেকে না৷ এ ধরনের চালে কিছুটা তেল থাকে বলে লাল চল খুব বেশি হলে ছয় মাস পর্যন্ত একেবারে ঠিক থাকে৷
লবণ
প্রাকৃতিক লবণ মূলত একটি খনিজ পদার্থ। আদ্রতার সংস্পর্শে এলে লবণ গলে যায়। তাই শুকনো স্থানে রাখলে লবণেরও কয়েক বছরে অন্তত কিছুই হয় না৷ আর এই কারণে অনেক বস্তুর পচন রোধ করতে লবনের ব্যবহার করা হয়৷ তবে যে সমস্ত লবণ বা নুনে আয়োডিন আছে তা কিন্তু বড়জোর পাঁচ বছর ঠিক থাকে।
সয়া সস
ভালো মানের সয়া সস প্যাকেট বা বোতলের সিল না খুললে অনেক বছরেও নষ্ট হয় না৷ সয়া সসেও থাকে লবণ আর সেই লবণের কারণেই এতে পচন ধরে না। তবে নির্ভর করে এর গুণগত মানের উপর
চিনি
‘বায়ু নিরদ্ধ’ কোনো কৌটো বা জারে চিনি, বিশেষ করে গুঁড়ো চিনি রাখলে, সেই চিনি অনেক বছর পর্যন্ত ভালো থাকে৷ বায়ুনিরোধক বোতলে শুকনা ও অন্ধকার স্থানে চিনি রাখলে বহুদিন ঠিক থাকবে।
শুকনো বাদাম
শুকনো বাদাম আদ্রতা বিহীন স্থানে রাখতে পারলে তা ত্রিশ বছর পর্যন্ত ঠিক থাকতে পারে৷
সাদা ভিনেগার
গবেষকরা বলছেন, শুকনা ও অন্ধকার স্থানে সংরক্ষণ করলে সাদা ভিনেগারও বহুবছর ঠিক থাকে৷
ভ্যানিলা
দামি, ভালো গুণগত মানের ভ্যানিলা যত্ন করে রাখলে কুড়ি বছরেও একটুও নষ্ট হয় না৷ ভ্যানিলায় থাকে অ্যালকোহল৷ আর সেই কারণে ভ্যানিলা সহজে নষ্ট হয় না৷