ঋণে জর্জরিত হয়ে নিজের নাবালিকা মেয়েকেই বিক্রি করার অভিযোগ উঠলো তারই বাবার বিরুদ্ধে। পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার মহিষাদল থানার (Mahishadal Police Station) উত্তর গোপালপুর গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। ওই গ্রামের বাসিন্দা শুকদেব চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী মৌসুমি চক্রবর্তী নিজের মেয়েকে বিক্রি করার অভিযোগ করেছেন। মহিষাদল থানার পুলিশ বর্তমানে সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ওই নাবালিকার পরিবার জানিয়েছে যে , নিজের নাবালিকা মেয়েকে ওই অভিযুক্ত গত ১ আগস্ট বিক্রি করে দেয় রঙ্গীবসানের এক যুবকের কাছে। দিন তিনেকের মাথায় সেখানকার পঞ্চায়েতের হস্তক্ষেপে উদ্ধার হয় মেয়েটি। ওই নাবালিকার মা ও পরিবার সহ সকলেই এই ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়। মহিষাদল থানার (Mahishadal Police Station) পুলিশ সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মহিষাদল থানার পুলিশ থানায় অভিযোগ করার পর ওই অভিযুক্তের খোঁজে তার বাড়িতে যায়। পুলিশ জানিয়েছে যে এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি তার।
অভিযুক্তের স্ত্রী মৌসুমি চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “প্রচুর টাকার দেনা করে রেখেছেন তার স্বামী নেশার কারণে। তারমধ্যে বাড়িতে রয়েছে দুই মেয়ে ও এক ছেলে। বাড়িতে বলে যে বড় মেয়েকে বড় বাড়িতে রেখে ভালো জায়গায় পড়াশুনো করাবে, আর তা বলে নিয়েও যায় তাকে বাড়ি থেকে। পরে জানলাম মেয়েকে সে বিক্রিই করে দিয়েছে। ঘটনা জানতেই স্থানীয় পঞ্চায়েতে জানাই সম্পূর্ণ ঘটনাটি। তার পরে মহিষাদল থানায় সব জানিয়ে অভিযোগ করি।” নারায়ন চন্দ্র চক্রবর্তী অভিযুক্তের বাবা জানান, ” আর সহ্য করা যাচ্ছে না ছেলের অত্যাচার। তাই থানায় ছেলের সাজার আবেদন জানিয়েছি। যত কঠোর শাস্তি হোক না কেন ওর যেন তা হয়।”
বর্তমানে অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক। পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। এই মুহূর্তে মেয়েকে বাড়িতে রেখে দেওয়া নিরাপদ হবে না তাই ।” ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ অভিযুক্ত শুকদেব চক্রবর্তীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।