কথায় বলে নিজের বাড়ি আর বাবা-মা সব থেকে নিরাপদ স্থান কোনো সন্তানের জন্য। কিন্তু আজকাল এমনই বিষয় দাঁড়াচ্ছে যে নিজের বাবার কাছেই সুরক্ষিত থাকল না নাবালিকা কন্যা। নাবালিকা মেয়েকে দিনের পর দিন ধরে ধর্ষণ করার এবং গর্ভপাত করানোর মতো গুরুতর অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। আর নাবালিকার গর্ভপাত করানোর বিষয়ে সাহায্য করল এক হাতুড়ে ডাক্তার। ঘটনাটি ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) গোপালনগর থানা এলাকায় সেই ব্যাক্তির এহেন কুকর্মের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। বাসিন্দাদের দাবি অভিযুক্ত বাবাকে কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে।
এই বিষয় ঘিরে পুলিশের কাছে অভিযোগ পৌঁছলে পুলিশ এলাকায় তদন্তে নামে। জানতে পেরেই বিপদ বুঝে পালিয়ে যায় বাবা। এই জঘন্য অপরাধের শামিল থাকার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক হাতুড়ে ডাক্তারকে। পকসো (POCSO) আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বাবার বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, সম্প্রতি গোপালনগরের এই নাবালিকা গর্ভবতী হয়ে পড়ে। অভিযোগ, নাবালিকার বাবা সেখানকার স্থানীয় হাতুড়ে চিকিৎসক অধীররঞ্জন অধিকারীকে দিয়ে তার গর্ভপাত করান।
বিষয়টি জেনে গোপালনগর থানা এলাকায় খোঁজ খবর শুরু করেন গোপালনগর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীরা। শনিবার রাতে পুলিশ হাতুড়ে ওই ডাক্তারকে তার নিজের বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার করেছে। তবে নাবালিকার অভিযুক্ত পিতা এবং হাতুড়ে চিকিৎসকের এক সহযোগী ফেরার। তাঁরা গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের সন্ধানে করছেন পুলিশকর্মীরা। নাবালিকা মেয়েকে (Underage Girl) ধর্ষণ এবং গর্ভপাতের ঘটনা এলাকায় জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারির দাবিও উঠতে থাকে। অবশেষে পুলিশের কাছে এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ওদিকে এলাকায় তার কুকর্মের কথা জানাজানি হয়ে গিয়েছে জেনে পালিয়ে যান অভিযুক্ত বাবা। এর পর খোঁজ খবর করতে নেমে সরাসরি ধর্ষিত নাবালিকার সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশ জিজ্ঞাসা করলে কান্নায় ভেঙে পড়ে নাবালিকা। বাবা ও হাতুড়ে চিকিৎসকের সম্মিলিত কুকীর্তির কথা সবিস্তারে সে পুলিশকে জানায়। দায়ের করা হয় অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতে এলাকা থেকেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত হাতুড়েকে। তাঁর এক সঙ্গী পলাতক। যদিও এ নিয়ে নাবালিকার পরিবার কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ।