বলা হয় শিক্ষক জাতির মেরুদণ্ড। সেই শিক্ষকের এহেন কাজের কথা শুনলে হতবাক হতে হয় বৈকি। প্রতিবেশী গৃহ শিক্ষকের নক্কারজনক কাজের কথা সামনে এলো। মাত্র পঞ্চম শ্রেণীতে পাঠরত এক নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ সামনে এলো। এই ঘটনার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই প্রবল উত্তেজনা ছড়ায়। শিক্ষককে ঘিরে ধরে জনতা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে পুলিশ।
যে গৃহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তার নাম রঘুনাথ রায়। তার বাড়িতে পড়তে আসতো পড়ুয়ারা। সেই পড়ুয়াদের মধ্যে ছিল ওই পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীও। শুধু তাই নয় প্রতিবেশী আরো এক নাবালিকা ছিল। শুক্রবার মেয়ে পড়তে গিয়ে অনেকক্ষণ না ফিরলে ওই নাবালিকার বাবা গৃহ শিক্ষকের বাড়িতে মেয়ের খোঁজ করতে যায়। সেখানে গিয়ে যে দৃশ্য দেখেন তিনি তার পায়ের তলার মাটি সরে যায়। দেখেন বিবস্ত্র অবস্থায় দুজনে এক ঘরে। এরপরেই বিষয়টি সামনে আসে।
ছাত্রীটির পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী এই ঘটনা একদিনের নয়, বেশ কয়েকদিন ধরেই ওই গৃহ শিক্ষক পঞ্চম শ্রেণীর পড়ুয়া নাবালিকা ছাত্রীর সাথে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতো। কাউকে জানালে বিপদ হবে বলে হুমকি দিত। এতেই ভয় পেয়ে ওই নাবালিকা কাউকে কিছু জানায়নি।
এদিকে ছাত্রীর বাবা বিষয়টি নিয়ে শোরগোল সৃষ্টি করলে পুরো এলাকায় চাউর হয়ে যায় কি ঘটেছে। প্রবল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। মারমুখী জনতা অভিযুক্ত শিক্ষকের উপর চড়াও হয়। থানায় খবর পৌঁছানো মাত্রই হাজির হয় কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ। স্থানীয়রাই অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
নাবালিকার পরিবার কালিয়াগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্ত গৃহ শিক্ষকের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। পুলিশ ওই ঘটনার তদন্তে নেমেছে। এইদিকে ওই গৃহ শিক্ষকের পিতা জানিয়েছেন তার ছেলে যদি এরকম কর্ম করে থাকে তাহলে আইন অনুযায়ী তার যেন শাস্তি হয়।