প্রথমে মেয়ে সেজে করতো বন্ধুত্ব। তারপরে আস্তে আস্তে ঘনিষ্ঠতা। তারপরে অশ্লীল চ্যাট। এইভাবেই ফাঁসিয়ে নিজেদের জালে ফেলতো তারপর শুরু হতো ব্ল্যাকমেইল। অবশেষে কুকীর্তি করার সময়ই পুলিশ হাতেনাতে ধরলো বাবা আর ছেলেকে।
রাজস্থান পুলিশ ভরতপুর জেলার শহর থেকে যৌন দুষ্কর্ম চালানোর অভিযোগে পিতা-পুত্র যুগলকে গ্রেপ্তার করেছে। বিরগওয়া গ্রামের একটি মাঠে একটি গাছের নিচে বসে মোবাইলে চ্যাট করতে থাকা বাবা-ছেলে দুজনকেই পুলিশ ধরেছে। বাসিন্দা আজিম মেও (বয়স ৫৮ বছর) ও তার নাবালক ছেলে গ্রেপ্তার হয়েছে।
তাদের কাছে পাওয়া মোবাইলে অনেক অশ্লীল ভিডিও, সেক্স চ্যাট, paytm অ্যাকাউন্ট, মেইল আইডি পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত বাবা তার নাবালক ছেলের সঙ্গে মিলে ফেসবুকে মেয়ে হয়ে অচেনা যুবকদের সাথে বন্ধুত্ব করতো। এরপর ভিডিও কল করে অশ্লীল ভিডিও করে টাকা দাবি করা হত। না দিলে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সব ভিডিও ভাইরাল করার হুমকিও দিত বাবা ছেলে জুটি। এর পাশাপাশি অশ্লীল ভিডিও ডিলিট করার জন্য ইউটিউবের কর্মকর্তারা সেজেও টাকা দাবি করতেন।
ভরতপুরের এসপি শ্যাম সিং বলেছেন যে অনলাইন জালিয়াতি এবং সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে মেওয়াত অঞ্চলে প্রচার চালানো হচ্ছে। এই অভিযানের ধারাবাহিকতায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রঘুবীর সিং কাভিয়ার নির্দেশনায় এবং সিও রোহিত কুমার মীনার নির্দেশে পুলিশ অফিসার, নগর হরলাল মীনা দ্বারা এসআই মহেশ কুমারের একটি দল গঠন করা হয়েছিল। শুক্রবার বিরগওয়া গ্রামের একটি মাঠে গাছের নিচে মোবাইলে সেক্স চ্যাট করার সময় বাবা ছেলেকে ধরা হয়েছে। পুলিশ একই গ্রামের বাসিন্দা আজিম মেওর ছেলে ভাগ মাল (৫৮) ও তার নাবালক ছেলেকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছে পাওয়া মোবাইলে অনেক অশ্লীল ভিডিও, সেক্স চ্যাট, paytm অ্যাকাউন্ট, মেইল আইডি পাওয়া গেছে। উভয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইটি আইন এবং আইপিসি ধারায় মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত করা হচ্ছে।
এসপি শ্যাম সিং জানিয়েছেন, ধৃত দুই অভিযুক্তকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এমন কত যুবককে ফেসবুকে বন্ধুত্বের ফাঁদে ফেলা হয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরই বিষয়টি জানা যাবে। এটি লক্ষণীয় যে মেওয়াত এলাকায় সাইবার ঠগদের দল সক্রিয় রয়েছে। এই চক্রের সদস্যদের ধরতে বর্তমানে ঘনঘন অভিযান চালাচ্ছে ভরতপুর পুলিশ।