ফতেহাবাদের রাতিয়ায় একজন ২০ বছর বয়সী ভিএলডিএ ছাত্র (ভেটেরিনারি ছাত্র) রুমের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে নিজের প্রাণ দিয়ে দিয়েছে। ঘটনার সময় তার সঙ্গীরা খাবার খেতে বাইরে গিয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কোনো সুইসাইড নোটও পায়নি। বর্তমানে সব দিক থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হরিয়ানার ফতেহাবাদ জেলায়, এক ভিএলডিএ ছাত্র (ভেটেরিনারি ছাত্র) ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। বলা হচ্ছে, ২০ বছর বয়সী আমান কাইথাল ফতেহাবাদের জেলার পিডাল গ্রামের বাসিন্দা এবং রাতিয়া এলাকার আহরওয়ান গ্রামের একটি ভেটেরিনারি কলেজে অধ্যয়নরত ছিলেন। তিনি তার সহযোগীদের নিয়ে রাতিয়া আনাজ মান্ডির দোকানের উপরে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়েছিলেন।
তথ্যমতে, তার রুম মেট যুবক সেই সময় বাইরে খাবার খেতে গিয়েছিল। খেয়ে ফেরার সময় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় আমানের মৃতদেহ দেখতে পায়। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে। কী কারণে ওই ছাত্র আত্মহত্যা করল নাকি এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য আছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ছাত্রের কাছ থেকে কোনও সুইসাইড নোটও পাওয়া যায়নি। বর্তমানে পুলিশের তদন্ত চলছে।
নিহতের বন্ধুরা জানান, আমানকে আমরা ফোনে কথা বলতে দেখে গিয়েছিলাম। আমরা খাবার খেতে বেরিয়েছিলাম। ফিরে এসে আমানকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। আমরা ১১২ ডায়াল করে পুলিশকে জানিয়েছি।
নিহতের বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।
রতিয়া সিটি থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা কানওয়ার সিং জানান, স্বজনদের বক্তব্যের ভিত্তিতে রহস্যজনক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে দেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে শিক্ষার্থীর এমন ভাবে প্রান দেওয়ার কারণ জানার চেষ্টা চলছে। নিহতের বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদও চলছে। পাশাপাশি তার কল ডিটেইলসও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।