Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

বন্ধ দোকানের ভেতর থেকে ছড়াচ্ছিল দুর্গন্ধ! কারণ তল্লাশি করতেই জানা গেল হাড়হিম করা তথ্য

গত কয়েকদিন ধরেই একটি বন্ধ দোকানের ভেতর থেকে ভেসে আসছিল ভয়ানক পচা দুর্গন্ধ। স্থানীয়দের এক প্রকার সে গন্ধের কারণে ওই দোকানের সামনে দিয়ে চলাফেরা করাই দায় হয়ে দাড়াচ্ছিল। দিনের পর দিন গেলেও পচা গন্ধ কমার কোনো নামই নিচ্ছিল না উল্টে বেড়েই যাচ্ছিল। শেষমেষ আর টিকতে না পেরে প্রশাসনের খবর যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে। পুলিশ এসে তল্লাশি চালাতেই সামনে আসে হাড়হিম করা তথ্য।

ঘটনাটি সামনে এসেছে মহারাষ্ট্রের নাসিক (Maharashtra, Nasik) থেকে। জানা গেছে মুম্বাই নাকায় অবস্থিত পুলিশ স্টেশনের পিছনে হরি বিহার সোসাইটির দুটি বন্ধ দোকানে সন্ধান মিলেছে মানব অঙ্গ প্রতঙ্গের। এর মধ্যে ছিল মানুষের পচা-গলা দেহাংশ যেমন মস্তিষ্ক, চোখ, কান এইসব। আর এর পরেই আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বন্ধ থাকা এসব দোকানের ভেতরে রাসায়নিকের সাহায্যে দুটি বড় প্লাস্টিকের বক্সে রাখা হয়েছিল মানুষের শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ।

পুলিশের এক সূত্র থেকে জানা গেছে মোট আটটি কানের সন্ধান মিলেছে। এসব ছাড়াও মানুষের চোখ ও মাথাও পাওয়া গেছে। সূত্র অনুযায়ী, গত প্রায় ১৫ বছর ধরে এসব দোকান খোলা হয়নি। তখন এসব দোকান ঘরগুলি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ভাড়া দেওয়া হতো। এখন পুরো বিষয়টির তদন্ত করছে নাসিকের মুম্বাই নাকা থানার পুলিশ। পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, এই দুটি দোকানই একজন চোখ, নাক, গলার চিকিৎসকের (ENT SURGEON) নামে নথিবদ্ধ রয়েছে।

ঘটনা অনুসারে, গত দুদিন ধরে মুম্বই ব্লকে অবস্থিত এই দোকানগুলি থেকে দুর্গন্ধ আসছিল। আশপাশের লোকজন এর কারণ জানার চেষ্টা করতে গিয়ে গত রোববার স্থানীয় লোকজন দোকানের শাটারের এক কোণে কিছুটা ভাঙ্গা জায়গা দেখতে পান। সেখান থেকে লোকজন দুর্গন্ধের কথা জানতে পারে। স্থানীয় লোকজন এরপর বিষয়টি পুলিশকে জানায়।

পরে পুলিশ দোকানের ভেতরে ভর্তি আবর্জনা থেকে চিকিৎসা কাজে ব্যবহৃত দুটি প্লাস্টিকের বক্স খুললে দুর্গন্ধ কোথা থেকে আসছে সেই উৎস খুজেঁ পায়। পুলিশের আরো তদন্ত করলে দেখা যায় যে রাসায়নিকের সাহায্যে এই মানবদেহের অঙ্গগুলিকে অত্যন্ত যত্নে রাখা হয়েছিল। এরপরই ফরেনসিক দল তৎক্ষণাৎ এই দুটি বাক্স বাজেয়াপ্ত করে। একই সঙ্গে এই দোকান ঘরগুলোর মালিক শুভাঙ্গিনী শিন্ডেকে ফোন করে পুলিশ। একই সঙ্গে তার দুই ডাক্তার ছেলেকেও ডাকা হয়। যাদেরকে গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে।

আসলে শিন্দে পরিবারের দুই ছেলেই শহরের ডাক্তার। তাদের একজন ডেন্টিস্ট এবং অন্য ছেলে ইএনটি সার্জন। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০০৫ সালে গবেষণার জন্য এসব অঙ্গ এখানে আনা হয়েছিল। আটটি কান ছাড়াও মানুষের মাথার কিছু অংশও দেখা যায়। বর্তমানে পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে।

Related posts

ফোনের পাসওয়ার্ড, লক প্যাটার্ন বা পিন মনে নেই? লক হয়ে যাওয়া ফোন আনলক করুন অনায়াসে

News Desk

বামাক্ষ্যাপার বহু আগে প্রায় ২০০০ বছরের পুরনো তারাপীঠের রহস্যময় ইতিহাস! শিহরন জাগবে

News Desk

স্ত্রী সোনার গয়না রেখেছিল চালের বস্তায়! না বুঝে বস্তা ধরে বিক্রি করে দিলেন স্বামী! তারপর..

News Desk