গত কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতিতে প্রবল ভাবে আলোচিত দুটি নাম। পার্থ-অর্পিতা! পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসাবে সামনে এসেছে অর্পিতা মুখার্জির নাম। কোটি কোটি টাকা ছাড়াও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে ইডির অভিযানের সময় এমনও অনেক জিনিস পাওয়া গেছে, যার জেরে বিস্মিত ইডি আধিকারিকরাও। ইডি তার ফ্ল্যাট থেকে খুজেঁ পেয়েছে সেক্স টয়।
পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত বড় বড় খবর গত কয়েকদিন ধরেই সামনে আছে। অভিযানে, ED কিছু ‘টয়’ খুঁজে পেয়েছে যা যৌনতার খেলনা বলেই অনুমান করা হচ্ছে। এই সেক্স টয় ঘিরে জোর জল্পনা সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজনরা মিম বানাতে, আর ট্রোল করতেও ছাড়ছে না। এছাড়াও অভিযানে ইডি একটি হীরার আংটিও পায় যাতে একটি আদ্যক্ষর ‘পি’ (P) লেখা ছিল। কাকতালীয় ভাবে এটা পার্থ চ্যাটার্জীর নামেরও আদ্যক্ষর। এছাড়াও জানা গিয়েছে হেভীওয়েট তৃণমূল নেতা সহ ৪ জন মহিলাকে জেরা করতে পারে ইডি। বড় খবর হল, তদন্তে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে আরও কিছু কেলেঙ্কারির রহস্য বেরিয়ে আসতে পারে। ইডি আধিকারিক সূত্রে খবর যেসব নথি পাওয়া গেছে তাতে আরও অনেক কেলেঙ্কারির তথ্য পাওয়া গেছে।
বাড়ি থেকে সোনা আর নগদ টাকা পেয়েছে:
৪.৩১ কোটি টাকার সোনা
নগদ ৫০ কোটি টাকা
২০০০ টাকার নোটের বান্ডিল
৫০০ থেকে ২০ লক্ষ টাকার নোট
৩টি সোনার বাট
এক কেজির ৩টি বাট
৬টি সোনার ব্রেসলেট
একটি সোনার কলম
একটি সোনার ছবির ফ্রেম
অর্পিতার গাড়ি নিখোঁজ হয়েছে:
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা যাক যে ইডি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি বাসস্থান থেকে প্রায় ৫১ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। ইডি সূত্র থেকে আরো একটি চাঞ্চল্যকর খবর সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে যে অর্পিতা মুখার্জির ৪টি গাড়ি নিখোঁজ রয়েছে এবং এই গাড়িগুলি ছিল নগদ টাকায় পূর্ণ। নিখোঁজ সমস্ত গাড়িতে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা রয়েছে বলে সন্দেহ করেছে ইডি। ইডির অভিযান শুরু হওয়ার পর অর্পিতার এই চারটি গাড়ি নিখোঁজ রয়েছে। ইডি একটি মাত্র সাদা রঙের মার্সিডিজ খুঁজে পেয়েছে। ইডি টিম নগদ বোঝাই গাড়িগুলি খুঁজে পেতে সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করছে। অর্পিতা ইতিমধ্যেই তাদের সামনে বলেছে যে এই সমস্ত অর্থই পার্থ চ্যাটার্জির।
পার্থের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে তৃণমূল
কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সরকার। দলের সঙ্গে যুক্ত সব পদ থেকে পার্থকে সরিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রীর পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তার সহযোগী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম আসার পর দুজনকেই ইতিমধ্যেই ইডি গ্রেফতার করেছে। পার্থের গ্রেফতারের ৫ দিন পর এই ব্যবস্থা নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। কিন্তু এত বড় দুর্নীতির কথা তিনি জানতেন না এমনটা সম্ভব না, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের।