মদের নেশায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন এক মহিলা।
নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ড্রাইভিং করার সময় তার গাড়িটি গিয়ে ধাক্কা মারে অন্য আরেকটি গাড়িকে। অন্য গাড়িকে বিধ্বস্ত করার পরে গ্রেপ্তার হওয়া মহিলা নাকি তাকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে “ব্রিজারটন স্টাইল সেক্স” (Bridgerton style sex) দিয়ে একজন পুলিশ অফিসারকে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ব্রিজারটন নেটফ্লিক্সের একটি সিনেমা।
এসথার মার্টিনেজ নামক ওই মদ্যপ মহিলা পুলিশ অফিসার গ্রোনওয়েগকে যুক্তি দিয়েছিলেন যে তিনি এইমাত্র ব্রিজারটন শো দেখে এসেছেন। এবং সাথে খুব বেশি মদ্যপান করছেন। কেননা তিনি নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে ছাড়া পাওয়ার দুই মাস পূর্তি সেলিব্রেট করছিলেন। এই ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে যান সেখানে উপস্থিত পুলিশ অফিসার। এমনকি ঘটনার বিষয়ে জেনে থ নেটিজনরা।
নথি অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশভিলের বাসিন্দা ইস্থার মার্টিনেজের বয়স ৩২ বছর। তিনি অতিরিক্ত মদ্যপান করেছিলেন। তিনি একটি বোতল থেকে সরাসরি টাকিলা পান করছিলেন এবং গ্রেপ্তার হওয়ার আগে এবং মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর আগে কিছু প্রেসক্রিপশন করা ওষুধও খেয়েছিলেন। এই অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটানোর পর সাথে সাথে তাকে গ্রেপ্তার করেন সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মী। অভিযোগ, ওই পুলিস কর্মীকে সিনেমার মতন যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার প্রস্তাব দেন মহিলা।
শুধু তাই নয় তাকে অ্যারেস্ট করে নিয়ে যাবার সময় নিজের স্তন এবং গোপন অঙ্গ দেখিয়ে ওই পুলিস অফিসারকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করেন ইস্থার মার্টিনেজ। এমনকি তাকে মিসেস মার্টিনেজ অসংখ্য যৌন মন্তব্য করতে শুরু করেছিলেন এমনটাই অভিযোগ। তাঁকে ছেড়ে দিলে পুলিশ অফিসার কে ওরাল সেক্সে দেবেন এমন অফার ও দেন। যদিও পরে পুলিস অফিসার জানতে পারে, ওই মহিলা মানসিক ভাবে সুস্থির নয় এবং কয়েকদিন আগেই রিহ্যাব সেন্টার থেকে ছাড়া পেয়েছেন।