আমাদের কাছে প্রিয় সবজি গুলির মধ্যে গাজর অন্যতম। নানা রকম রঙের গাজর পাওয়া যায় বিশ্বের নানা দেশে, কোনও কোনও গাজরের রং হয় সাদা, আবার কোনও গাজরের রং হলুদ। কমলা রঙের গাজর আমাদের দেশে পাওয়া যায়। এটা শীতকালীন সবজি। গাজর কিন্তু আমাদের শরীরের পক্ষে খুব উপকারী। প্রচুর পরিমানে উপকারী উপাদান গাজরে থাকে। স্বাস্থ্যর সাথে ত্বকের খুব উপকার হয় গাজরের জন্য কারণ এতে থাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন।
গাজরের ব্যবহার ব্যাপক সবজি হিসেবে। জেমকন খাওয়া যায় মাংসের স্টুতে। তেমনই অনেকের কাছেই অতি প্রিয় গাজরের হালুয়া। গাজর বেশ জনপ্রিয় সালাডের মধ্যেও। এটি কাঁচাই খাওয়া যায় সামান্য লবণ মিশিয়ে। সিজনের সময় থাকে একেবারেই সস্তা পুষ্টিসমৃদ্ধ এ সবজিটির বাজারমূল্য।
সবার আগে জানতে হবে গাজর কেন খাবেন আর গাজরের রসের উপকারিতা সম্পর্কে
প্রচুর পরিমানে বেটা ক্যারোটিন গাজরে থাকে। এই বেটা ক্যারোটিনে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ থাকে। এই ভিটামিন এ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই গাজরের রস প্রত্যেকদিন এক গ্লাস করে খেলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক গুণ বেড়ে যায়।
ক্যারটিনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গাজরের মধ্যে থাকে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে এবং রক্ত শুদ্ধিকরণের সাহায্য করে। এছাড়াও গাজরের জুস মুখের থেকে দাগ ছোপ দূর করে, বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে।
গবেষণায় দেখা যায়, ৩৩ শতাংশ ভিটামিন ‘এ’, ৯ শতাংশ ভিটামিন ‘সি’ এবং ৫ শতাংশ ভিটামিন ‘বি-৬’ প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরে পাওয়া যায়। ফ্রি র্যাডিকেলসের বিরুদ্ধে এগুলো এক হয়ে লড়াই করে ।
ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে গাজরে তাই এটি পেটের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়াদের সহায়তা করে, ফলে পেটের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। পেট ফাঁপা, বদহজম ইত্যাদির মতো সমস্যা দেখা দেয় না এর ফলে।
প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গাজরের রসে থাকায় তা হৃৎপিণ্ডের নানা জটিলতা দূর করতে সহায়তা করে। এমনকি ডিএনএ সারাতেও সহায়তা করে গাজরে থাকা পুষ্টি উপাদান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া।