“মহামারীর হাত থেকে কারো (Pandemic) নিস্তার নেই।” তাই স্ত্রী ও সন্তানদের খুন করে তাঁদেরকে যাবতীয় কষ্ট যন্ত্রণা থেকে ‘মুক্তি’ দিলেন কানপুর নিবাসী (Kanpur) এক চিকিৎসক! স্ত্রী এবং নিজের ছেলে আর মেয়েকে খুন করার আগে নিজের যমজ ভাইকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ লিখে পাঠান ৬১ বছর বয়সী ওই চিকিৎসক। লেখেন, “চলতি মহামারীর সংক্রমণ এর হাত থেকে কেউ রেহাই পাবে না। কোনো আপদকালীন পরিস্থিতির যাতে শিকার তাদেরকে না হতে হয়, তাই ওদের কে মুক্তি দিচ্ছি আমি।”
উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কানপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক হিসাবে কাজ করতেন সুশীল কুমার (Sushil Kumar)। ডায়েরিতে তিনি যে তাদের খুন করেছেন সেই কথা লিখে রেখে গেছেন। সেখানে লিখেছেন, তিনি নিজেও কোনো জটিল ব্যধিতে আক্রান্ত। পেশাগত দিক থেকেও সুখী নন। আরও লেখেন, “ যে করোনা মহামারী চলছে তার থেকে কারও নিস্তার নেই।” ডায়েরির পাতায় নিজের অবিন্যস্ত বয়ানে লিখে রেখে গেছেন, “আমি নিজেই নিজের এক মস্ত ভুলে নিজের পেশাগত জীবনের এমন এক জায়গায় ফেঁসে গেছি, যেখান থেকে আমার আর মুক্তি নেই।” কানপুরের পুলিশ এর সূত্র অনুযায়ী, স্ত্রী এবং ছেলে মেয়েকে খুন করার পরেই ওই চিকিৎসক তার ভাইকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠান। তারপরেই চিকিৎসকের ভাই তড়িঘড়ি দাদার বাড়িতে ছুটে আসেন। পৌঁছে দেখেন, একটি ঘরে তার বৌদি অর্থাৎ চিকিৎসকের স্ত্রী ও অন্য ঘরে ভাইপো-ভাইঝি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তিনিই পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ কমিশনার অসীম অরুণ জানিয়েছেন, খুন করার আগে নিজের ৪৮ বছর বয়সী স্ত্রী চন্দ্রপ্রভা দেবী এবং ছেলে শিখর সিং ও মেয়ে খুশি সিং কে কোনো ভাবে মাদক খাইয়েছিলেন চিকিৎসক। এরপর তাঁরা মাদকের ঘোরে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে প্রথমে নিজের স্ত্রীকে গলাটিপে খুন করেন, এরপর দুই ছেলে মেয়েকে নৃশংস ভাবে মাথায় হাতুড়ির আঘাত দিয়ে খুন করেন। সুশীল কুমারের ভাই পুলিশ কে জানিয়েছেন, তাঁর দাদা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। যদিও এই খুন নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কারণ নিজের পরিবার কে শেষ করে পলাতক চিকিৎসক সুশীল কুমার।
অবশ্য করোনা মহামারী চলাকালীন মানসিক অবসাদে ভুগে আত্মহত্যা এবং খুনের ঘটনা এই প্রথম নয়। আবারো কি এমন ঘটনা ঘটল? দ্বন্ধে সকলে।