যেদিকেই চোখ যায় বানর আর বানর। এই উৎসবের প্রধান অতিথি তারাই। যেখানে রাশি রাশি ফল ডাই করে রাখা থাকে, আর বানরেরা এসে সেগুলির স্বাদ নেয়। আর তা দেখতে দেশ বিদেশ থেকে আসে প্রচুর মানুষ। এক আজব মজার উৎসব এ। বানর রাজ্যের এই উৎসবের নাম ‘মাঙ্কি ফেস্টিভ্যাল’।
না বানর রাজ্য বলতে কিষ্কিন্ধার কথা বলা হচ্ছে না। থাইল্যান্ডে অবস্থিত লোপবুরি শহর পরিচিত ‘বানর রাজ্য’ হিসাবে৷ বানরের আকর্ষণে প্রতিবছর সেখানে যান অনেক পর্যটক৷ তাই বানরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে প্রতিবছর সেই প্রদেশে আয়োজিত হয় এই উৎসব যেখানে পেটপুরে বানরকে ভোজন করানো হয়।
এই খানের বানরের বিশেষত্ব হচ্ছে লম্বা লেজ। এই প্রজাতির বানরকে ডাকা হয় ‘ম্যাকাকিউজ’ নামে। উৎসব চলাকালীন তারা দলে দলে এসে ভিড়ে উৎসব ক্ষেত্রে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের গায়ে মাথায় উঠে-পড়ে, বানরদের উদ্দেশ্যে স্তূপাকার করে রাখা কলা ও আনারস আরো নানাবিধ ফল খেতে থাকে।
কিছুদিন আগে আয়োজিত উৎসবেও দেখা গেছে একই বিষয়। করোনা ভীতি কাটিয়ে ফের উৎসবে যোগ দিতে এসেছেন প্রচুর দেশি-বিদেশি পর্যটক। আয়োজন করা হয়েছে নাচ-গান ইত্যাদির। বানরেরাও যথারীতি এসে উপস্থিত হয়েছে। ফল খেয়ে, ছড়িয়ে, পর্যটকদের সাথে মিশে প্রভূত মজা করেছে। জানা গিয়েছে, উৎসব এর ক্ষেত্রে বানর দের জন্য রাখা ফলের ওজন ছিল প্রায় দুই টন। তরমুজ, আনারস, ড্রাগন ফল, কলা কত কি রাখা ছিল। বানরদের প্রিয় এইসব ফলমূলের সঙ্গে রাখা হয়েছিল ডুরিয়ানের মতো যথেষ্ট দামি ফলও।
গতবছর করোনার কারণে এই উৎসব সাময়িক ব্যাহত হয়েছিল। পর্যটকদের জন্য ছিল উৎসবে যোগদান এ নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু ইদানীং করোনা ভীতি কাটিয়ে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে পৃথিবী। শিথিল হয়েছে বিধিনিষেধ। থাইল্যান্ডে পর্যটকদের জন্যে আগমন ‘কোয়ারান্টাইন-ফ্রি’ হওয়ায় আশা করা যাচ্ছিল সেখানে এবার পর্যটকদের ভিড় বাড়বে। সেই রকমই হল। বানরের উৎসবে হাজির ছিল প্রচুর মানুষ। রীতিমত জমে গেল বানর উৎসব।
সূত্র অনুযায়ী এই উৎসব আয়োজনে ১ লাখ থাই বাথের মতন টাকা খরচ হয়েছে।
উৎসবে যোগ দেওয়া পর্যটকদের প্রায় সকলেরই একই কথা ‘ দারুন মজা হয়েছে।’