সারা বিশ্বে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। কারো সাথে চ্যাট করা হোক, কি কল করা হোক। মেসেজ, ভিডিও, অডিও ইত্যাদি একে অপরের সাথে এক্সচেঞ্জ করতে হোয়াটসঅ্যাপ জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু জানেন কি আপনার একটি মাত্র ভুলে আপনার ফোন থেকে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট চিরতরে নিষিদ্ধ করতে পারে? আসুন জেনে নিন বিস্তারিত।
গ্রাহক সংখ্যার বিচারে সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে এগিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ। বাকি মেসেজিং অ্যাপ অনেকটাই পিছিয়ে প্রতিযোগীরা। প্রায় প্রত্যেকের স্মার্টফোনেই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজিং অ্যাপ ইনস্টলড করা থাকে।হোয়াটসঅ্যাপের এত বিপুল জনপ্রিয় হওয়ার কারণে, মার্কেট নকল হোয়াটসঅ্যাপ এবং নকল অ্যাপ ভরে গিয়েছে।
বাকি সব অ্যাপের মতোই WhatsApp-এর মধ্যেও রয়েছে কিছু প্রতিবন্ধকতা। ইউজারদের পছন্দ মত সব ফিচারস পাওয়া যায় না।
ভেরিফাইড বা সত্যিকারের হোয়াটসঅ্যাপে যে ফিচারস এখনও আসেনি, সেই ধরনের নানা ফিচারস দেওয়া হয় এই ভুয়ো হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপে। যার কারণে ব্যবহারকারীরা এই নকল হোয়াটসঅ্যাপ জাতীয় মেসেজিং অ্যাপের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে এগুলি ডাউনলোড করে নিজের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও এতে ট্রান্সফার করে ফেলেন। এই রকম হোয়াটসঅ্যাপ কে নকল করা দুটি অ্যাপের নাম ‘হোয়াটসঅ্যাপ প্লাস’ আর ‘জিবি হোয়াটসঅ্যাপ’। এগুলি প্লে-স্টোরে উপলব্ধ নয়, অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে apk ডাউনলোড করতে হয়। এই কারণে এগুলি সুরক্ষিত নয়। এমনকি এই সব অ্যাপের লিংকের হ্যাকাররা। তারা এই ভাবে ফোন হ্যাক করে নিতে পারে। এই নকল হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ ব্যবহারকারীর ফোনে বিপজ্জনক ম্যালওয়্যার ইনস্টল করে এবং হ্যাকাররা ফোনের প্রতিটি কার্যকলাপের উপর নজর রাখতে পারে।
এই কারণেই WhatsApp তার ব্যাবহারকারীদের এই ভুয়া অ্যাপ থেকে সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ কর্তিপক্ষ জানিয়েছে ” WhatsApp এই তৃতীয় পক্ষের অ্যাপগুলি সমর্থন করে না কারণ আমরা সেগুলোর নিরাপত্তা পদ্ধতি যাচাই করতে পারি না।” পাশাপাশি তারা এও বলে সতর্ক না হলে কারো হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্ট পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারে। সাথে সাথে এই অ্যাপগুলিকে ফোনে ডাউনলোড করলে ডেটা এবং ফোনে সেভ করা অন্যান্য গোপনীয় তথ্য চুরির ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।