কোনও মানুষ এমন নেই যে বলবে তার বাড়িতে মশার কোনও উপদ্রব নেই। হয়তো কিছুটা কম বা কিছুটা বেশি কিন্তু একেবারেই থাকবেনা এটা হতে পারেনা! এই সময়টায় বিশেষ করে মশার উৎপাত মারাত্বক হারে বাড়তে থাকে। খেয়াল করে দেখবেন সন্ধ্যে বেলা হতেই ঝাঁকে ঝাঁকে মশা একবারে আসতে থাকে। যখনই মশা কামড়াবে সাথে সাথে সেই জায়গা লাল হয়ে ফুলে যাবে আর চুলকাতে থাকবে। কিন্তু অনেকাংশে চুলকানির মাত্রা বেশি হয় আবার অনেকের কম। আবার যাদের এলার্জির ধাত আছে তাদের কাছে মশা কামড়ানো বেশ অস্বস্তির কারণ।
অনেকেই বিভিন্ন কম্পানির তৈরি মলম ব্যবহার করেন মশার কামড় থেকে বাঁচতে। অনেকেই আবার চুলকানো বন্ধ করতে কামড়ানো জায়গায় মলম লাগান। কিন্তু ত্বকের ক্ষতি হয় এতে। তাই চুলকানোর পরিবর্তে কিছু ঘরোয়া উপায় প্রয়োগ করতে পারেন মশা কামড়ালে।
আইস কিউব:
যদি আপনি মশার কামড়ের শিকার হন তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফ্রিজের দিকে যান, বের করুন কয়েকটি আইস কিউব, আইসক্রিমগুলো একটি তোয়ালে বা রুমালের মধ্যে রেখে সেটি মশা কামড়ানোর স্থানে রাখুন। বিশ মিনিট ধরে অব্যাহত রাখুন প্রক্রিয়াটি। অতঃপর কোনো ধরনের চুলকানি অনুভব করবেন না দেখবেন এবং অদৃশ্য হয়ে যাবে ফোলাভাবও।
তুলসী পাতা:
প্রভাবিত স্থানে তুলসী পাতা নিয়ে ঘষে নিন। এছাড়াও, প্রায় ১৫ গ্রাম শুকনো তুলসী পাতা দুই কাপ জলে দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এরপর প্রভাবিত অংশে এটি ঠান্ডা করে তাতে এক টুকরো কাপড় ডুবিয়ে সেটা লাগান। অনেকটা উপকার হবে।
লেবু:
আক্রান্ত স্থানে ১ টি লেবু টুকরো টুকরো করে আস্তে আস্তে ঘষে সেখানে লেবুর রস লাগান। কিছু অ্যান্টি-চুলকানিযুক্ত বৈশিষ্ট্য রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিডে যা চুলকানি কমাতে সহায়ক মশার কামড়ের কারণে।
টুথপেস্ট:
টুথপেস্ট লাগিয়ে রাখুন মশা যে অংশে কামড়িয়েছে সেই অংশে। সেই জায়গা অনেকটা আরাম পাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই। ঠান্ডা লাগবে।
রসুন:
সামান্য নারকেল তেলের সঙ্গে রসুন থেঁত করে মিশিয়ে তা কামড়ানো জায়গায় লাগান। এটি সহায়ক জ্বলন কমাতে বা ঘা সারাতে। রসুন সরাসরি ব্যবহার করবেন না।
অ্যালভেরা জেল:
মশা কামড়ের স্থানে কেনা হোক কিংবা বাড়িতে করা অ্যালভেরা গাছ থেকে জেল বের করে লাগান। জ্বালা ভাব কমায় এই জেল ঠাণ্ডা হওায়ায়।