শীত পড়ুক না পড়ুক, একটু ছ্যাঁকছেকে ভাব পড়তে না পড়তেই চালু হয়ে যায় গরম জলে স্নান। এখন বহু বাড়িতেই গিজার থাকার ফলে গরম জল পাওয়াটাও সুলভ। আলাদা করে আর জল গরম করার ঝক্কি থাকে না। এবং গরম জলের পরিমাণও থাকে অনেক। কিন্তু এই গরম জলেই স্নান করলে ক্ষতিহতে পারে অনেক। তাই গরম জলে স্নান করার সময়ে কয়েকটা কথা মাথায় রাখা শ্রেয়।
অনেকক্ষণ ধরে গরম জলে স্নান একেবারেই নয়
বহু মানুষের প্রবণতা থাকে শীত কালে স্নান না করার। আবার কেউ কেউ আছেন, স্নান করতে ঢুকলে বেরোতেই চান না। এই দুইয়ের মাঝে সমতা বিধান করতে হবে আপনাকেই। অনেকক্ষণ ধরে গরম জলে স্নান করার একেবারেই উচিত নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে বেশিক্ষণ শরীরে গরম জল ঢালতে থাকলে কেরাটিন নামে এক ধরনের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবার অনেকেই বলেন যে, গরম জল শুধু মাত্র শরীরেই ঢালা উচিত। চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে মাথায় সাধারণ তাপমাত্রার জল ব্যবহার করা উচিত। সে ক্ষেত্রে প্রথমে চুল ভাল করে ধুয়ে নিয়ে তার পর গরম জলে স্নান করতে পারেন। এ ছাড়া গরম জল হবে ঈষদুষ্ণ। যাতে হাত ছোয়ালে তা সহনীয় বলে বোধ হয়।
শুধু কি তাই? রোজ গরম জলে স্নান করলে পেট গরম হয় ৷ সেখান থেকে পেটের গোলমাল, শরীর আনচান করা, শরীর কষে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে ৷ তাই জলের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাক।
ঠান্ডা লাগার প্রবণতা এবং হোয়াইট ব্লাড সেলস
শীতকালে ঠান্ডা লাগা খুব স্বাভাবিক ঘটনা। যে কোনও রকম সংক্রমণে শরীর নিজে থেকে শ্বেত কণিকা বা হোয়াইট ব্লাড সেল তৈরি করে। অতিরিক্ত পোশাক চাপিয়ে রাখলে এই স্বাভাবিক ঘটনাই ব্যাহত হয়। হট বাথে শরীরে জমা টক্সিন বেরিয়ে যায়। শরীর ঝরঝরে করে তোলে।
সারাদিনের কাজকর্ম, অফিস বা দীর্ঘযাত্রার পর একটা হটবাথ কিন্তু শরীর তরতাজা করে দেয়, ক্লান্তি দূর করে। উষ্ণ জলে শরীর রিল্যাক্সড লাগে। এতে রক্তসঞ্চালন ভালো হওয়ায় শরীর ভালো থাকে।