কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী আজ। সেই উপলক্ষ্যে দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে ধনতেরাস। এদিকে, আজ রাত পার হলেই আগামীকাল কৃষ্ণা চতুর্দশী পড়বে। এমন দিনে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী। বহু জায়গায় এই দিনটি নরক চতুদর্শী বলে পরিচিত রয়েছে। ৩ রা নভেম্বর দেশ জুড়ে নরক চতুর্দশী পালিত হতে চলেছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক চোদ্দ শাক খাওয়ার দিনে ও চোদ্দ প্রদীপ দেওয়ার দিনে কোন কোন জ্যোতিষ টিপস পালন করলে তা কার্যকরী ফল দেয়।
শিব পুজো
এমন দিনে জ্যোতিষবিদরা শিবপুজো করার পরামর্শ দিচ্ছেন। মনে করা হয় , ভূত চতুর্দশীর দিন যদি মহাদেবকে পুজো করা হয়, তাহলে নির্বাণ লাভ করা যায়। যা ইচ্ছা তাই এদিন পাওয়া যায়। মনে করা হয় বহু পাপের প্রায়শ্চিত্ত করা যায় এমন একদিনে। ভূত চতুর্দশীর দিন যদি শিবের পুজো করা হয়,তাহলে নরক গমনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় বলে বহু এলাকায় বিশ্বাস করা হয়।
চোদ্দো প্রদীপ
এমন দিনে ইষ্ট দেবতা ছাড়াও পূর্ব পুরুষকে স্মরণ করে প্রদীপ দেওয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে। বাড়িতে যেন যমের ছায়া না পড়ে আর অলক্ষ্মীর বাস না হয়, তার জন্যই এমন রীতি প্রচলিত। মূলত মনে করা হয় মৃত্যুর পর দেহ পঞ্চভূতে বিলিন হয়। অর্থাৎ প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান মিশে থাকে দেহ। আর সেই প্রকৃতির ১৪ টি শাককে এক এক একটি পুরুষ (পূর্ব পুরুষের) উদ্দেশে উৎসর্গ করে খাওয়ার রীতি পালিত হয়।
ভূত চতুর্দশীর স্নান
জ্যোতিষমতে বলা হচ্ছে, ভূত চতুর্দশীর দিন তেল, ফুল ও চন্দন মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে তা মেখে স্নান করলে বহু অশান্তি কেটে যায়। এমন দিনে ঈশ্বরকে চালের গুঁড়ো, তিলের গুঁড়ো, ঘি ও চিনি দিয়ে পুজো করলে মনের ইচ্ছাও পূরণ হয় বলে দাবি করেন বহু জ্যোতিষবিদ। তিলের তেল যদি স্নানের আগে এই দিনে মেখে নেওয়া যায়, তারপর স্নান করা যায়, তাহলে তা খুবই সুফল দিতে পারে। এদিন স্নানের জলে তুলসী পাতা ফেলে দিলে তা কার্যকরী ফল দেবে বলে মনে করেন অনেকে।
যমের প্রতি প্রদীপ
সমস্ত ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার কাজ করে থাকেন যম। আর সেই উপলক্ষ্যে, নরক চতুর্দশীর রাতে যমের নামে একটি প্রদীপ জ্বালানোর রীতি পালিত হয়। ফলে বহু বাড়িতেই ভূত চতুর্দশীর রাতে যমের নামে প্রদীপ জ্বালানোর রীতি পালিত হয়। শাস্ত্র মতে মনে করা হয় এই কাজ করলে, তা শুভ ফল দেবে।