২০২১ এর নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ২০০টি আসন জয়ের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছিল বিজেপি (BJP)। কিন্তু বিধানসভা ভোটে কার্যত বিপুল ভাবে আশাহত হয়েছে বিজেপি। হাওড়া, হুগলির সাথে সাথে রাজ্যের আরো বহু নির্বাচন কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছেন বড় বড় বিজেপির নাম। ‘দলবদলুদের’ জন্যই এই ভরাডুবি, এমনই টাই মনে করছেন বিজেপি সদস্যদের একাংশ।
ভোটের আগ দিয়ে তৃনমূল ছেড়ে বিজেপি তে যোগদান রাজ্যের মানুষ যে ভালো মনে একেবারেই নেননি তার প্রমাণ পাওয়া গেছে বিধানসভা ভোটের ফলাফলে। এবার এই প্রসঙ্গে উত্তর দিলেন বিজেপির বড় নেতা দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা কে হবেন, সেই বিষয়েও তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য রাখেন তিনি।
রাজ্য গেরুয়া শিবিরের কিছু নেতার কথায়, বিরোধী দলের দায়িত্ব পেয়ে আনন্দিত তাঁরা। ২০১৬ তে ৩তে আসন থেকে ২০২১ এ ৭৭ টি আসন জয়ের এই ফলাফল দলের কাছে ‘ঐতিহাসিক সাফল্য’, দাবি করেছিলেন বিজেপির নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। এরপর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়, বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা কে হচ্ছেন! রাজনৈতিক বিশ্লেষক দের একাংশ মনে করছিলেন, শুভেন্দু অধিকারী অথবা মুকুল রায়, এই দুই হেভিওয়েট নেতার মধ্যে কোন একজনকে এই দায়িত্ব পাবেন।
কিন্তু জয়ের পর বিধানসভায় এসে মুকুল রায়ের করা মন্তব্য তার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে যথেষ্ট দ্বিধা তৈরী করেছে। বিধায়ক হিসেবে শপথগ্রহণের দিন তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সির সঙ্গে মুকুল রায়ের সৌজন্য সাক্ষাৎ ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। যদিও শনিবার টুইটারে মুকুল রায় নিজের অবস্থান নিয়ে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে লিখেছিলেন, ‘ বিজেপির সৈনিক হিসেবেই এই রাজ্যে গণতন্ত্রকে পুনর্বহাল করার লড়াই জারি রাখব আমি। প্রত্যেকের কাছে অনুরোধ, তাঁরা সব জল্পনা ও কল্পনা থেকে দূরে থাকেন। আমি আমার রাজনৈতিক দিশায় সংকল্পবদ্ধ।’ তাহলে কি বিরোধী দলনেতা মুকুলই? রবিবার দিলীপ ঘোষ জানান, ‘কে বিরোধী দলনেতা হবেন, তা সোমবার বাছা হবে। এই বিষয়ে এখনই মন্তব্য করা সম্ভব নয়।’
দিলীপ ঘোষ আরো বলেন,যে আসনগুলিতে বিজেপি পরাজিত হয়েছে, সেখানে হারের কারণ পর্যালোচনা করার প্রয়োজন রয়েছে।’
আরো বলেন ‘দেশ এবং রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হেনেছে। আক্রান্ত অনেক মানুষ। বেড, অক্সিজেন এবং ওষুধ পাচ্ছেন না অনেকেই। রাজ্য সরকার চাইলে আমরা পাশে দাঁড়াবো।’