ভারতীয় ক্রিকেটের অধিনায়ক হিসাবে মহেন্দ্র সিং ধোনির সাফল্যের সীমা পরিসীমা নেই। ক্যাপ্টেন হিসাবে উইকেট কিপার-ব্যাটসম্যান ধোনি বিশ্বক্রিকেটের অন্যতম সর্বকালের সেরা। দেশে বিদেশে তাঁর ভক্ত অনুরাগীর কোন কমতি নেই, সেই বিষয়ে সকলেরই জানা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্রিকেট থেকে গত বছর অবসর নেওয়ার পরেও প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়কের প্রতি ভালবাসায় যে সামান্যতমও ঘাটতি পরেনি, সম্প্রতি ঘটা একটি ঘটনাই ফের একবার তা প্রমাণ করে দিল। পায়ে হেঁটে চোদ্দশ ছত্রিশ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করল মহেন্দ্র সিং ধোনির এক ভক্ত।
এমনই এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটল ধোনির ফার্ম হাউসের সামনে শুক্রবার সকালে। এক যুবক রাঁচি শহরের বাইরে শিমালিয়া অঞ্চলে অবস্থিত বর্তমান ধোনির ফার্ম হাউসের বাইরে দাঁড়িয়ে। তার আবদার, তাঁর প্রিয় ধোনির সঙ্গে দেখা করবে সে। কিন্তু কোথায় মহেন্দ্র সিং ধোনি! সে তো আইপিএল খেলতে চলেগেছেন মরুশহর সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। কে কার কথা শোনে। মাহির সঙ্গে সে দেখা করে তবেই বাড়ি ফিরবেন। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে মাহির বাড়ির গেটের দরজার দরোয়ান থেকে আশেপাশের বাসিন্দারা যে এই মুহূর্তে সেটা সম্ভব নয়, তার পরেও যুবক নিজের জেদে অটল থাকেন। তার একটাই কথা, ‘ধোনিজি সে মিল কে হি ঘর লউটুঙ্গা (ধোনির সঙ্গে আমি দেখা করে তারপরই বাড়ি ফিরব)।’
পরে সকলেই আবাক হয়ে যান তাঁর সম্বন্ধে জানতে গিয়ে। এর আগে কখনও দেখেনি কেউ মাহির এমন কোনো পাগল ভক্তকে, এই প্রথম এমন এক ধোনি জ্বরে উন্মাদ ভক্তকে দেখলেন তাঁরা। কারণ গোটা বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ সমর্থক ছড়িয়ে রয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির । কিন্তু, এর আগে কেউ এমন ‘পাগলামি’ বোধহয় করেনি। এই যুবকের বাড়ি হরিয়ানায়। হরিয়ানার এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে হাঁটতে শুরু করেছিল এই যুবক মাহির সঙ্গে সামান্য দেখা করার জন্য। ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে এসে সেই হাঁটা শেষ করেছেন। কথা বলে জানা যায়, অজয় গিল ধোনির এই ভক্তের নাম। মাত্র ১৮ বছর তাঁর বয়স।
অজয়ের দাবি অনুযায়ী, সে হাঁটতে শুরু করেছিল ২৯ জুলাই থেকে। ১৬ দিন হেঁটে চলার পর ১,৪৩৬ কিলোমিটার দূরে রাঁচিতে চলে এসেছে, তাঁর গ্রাম হরিয়ানার জালান খেড়া থেকে। এমনকি নিজের মাথার চুলেতে সে নাম লিখিয়েছে নিজের প্রিয় মাহির। সকলেই অবাক হয়েছেন হাতে ভারতের পতাকা নিয়ে সে এমন কীর্তি করায়। তবে তাঁর আশা ছিল নিশ্চয়ই তাঁর সঙ্গে ১০ মিনিট এর জন্য হলেন প্রাক্তন অধিনায়ক ধোনি । কারণ সে পায়ে হেঁটে এসেছে এতদূর থেকে। কিন্তু তার সেই আশাপূর্ণ হলনা এই যাত্রায়। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী তাঁকে বাড়িতে ফেরত পাঠায় কোনও রকমে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে।