নয়াদিল্লির আসোলা গ্রাম এলাকার এক ব্যক্তি ময়দানগড়ি থানায় ৩৫ বছর বয়সী এক মহিলার নিখোঁজ রিপোর্ট দায়ের করেছিলেন। অভিযোগকারী বলেছিলেন যে তার স্ত্রী কোনও খবর না দিয়েই ১৩ই জুন বাড়ি থেকে চলে যান। ঘটনার তদন্ত শুরু করে দেয় পুলিশ। পুলিশ সন্দেহের ভিত্তিতে মহিলার স্বামীকে কড়া জিজ্ঞাসাবাদ করলে যে তথ্য সামনে আসে তাতে সবাই অবাক হয়ে যায়।
পুলিশ নিখোঁজ মহিলার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুলিশ -এর তার ভূমিকা সন্দেহজনক বলে মনে হয়। মহিলা নিখোঁজ হওয়ার বেশ কয়েকদিন পর পুলিশে অভিযোগ করেন। পুলিশ ওই নারীর স্বামীকে কঠোরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে সত্যি কথা স্বীকার করে নেয়। তিনি পুলিশকে জানান, স্ত্রীর অভ্যাসে বিরক্ত হয়ে ১৪ই জুন তার ভাইকে নিয়ে স্ত্রীকে খুন করেন তিনি।
আসামি জিজ্ঞাসাবাদে করলে এইসব কথা বলেছে পুলিশকে
জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত জানায়, তার স্ত্রীর অনেকের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তিনি মদও পান করতেন। অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছে নাকি ওই ব্যাক্তি। এ নিয়ে গত ১৪ই জুন দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর উত্তেজিত স্বামী স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দেহ ফতেপুর বেরির জঙ্গলে ফেলে দেয়।
তিনি বলেছিলেন যে যখন তিনি জানতে পারলেন যে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তার স্ত্রীকে নিখোঁজ বা হত্যার অভিযোগে উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহরে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে, তখন সন্দেহ এড়াতে তিনিও স্ত্রীর নিখোঁজ রিপোর্ট দায়ের করেন ময়দানগড়ী থানায়। অভিযুক্তের দেখিয়ে দেওয়া জায়গায় ওই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠিয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।