Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

দু’ দুবার বার ডেথ সার্টিফিকেট বার করা হলো ৭৫ বছর বয়সী জীবিত বৃদ্ধের! নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর কারণ

বহাল তবিয়াতে বেঁচে আছেন তিনি। তাও মিউনিসিপাল কর্পোরেশন থেকে দু দুবার ডেথ সার্টিফিকেট বেরিয়ে গেল তার। কেন, কারা করল এমন কাজ? উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

উত্তর প্রদেশের ফিরোজাবাদের হুমায়ুনপুর এলাকায় ৭৫ বছর বয়সী সাধু কৃষ্ণ নন্দ সরস্বতী তার গুরু অচিতানন্দের নামে একটি আশ্রম তৈরি করেছেন। এই আশ্রমের জমির দাম এখন কোটি টাকা। এই আশ্রমের বাইরেও দোকান আছে। এসব দোকানের ভাড়ায় চলে আশ্রমের খরচ। ভূমি মাফিয়ারা এই আশ্রম দখল করতে চায়। এই কারণে ওই সন্ন্যাসী মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন দ্বারা ইস্যু করা মৃত্যুর প্রমাণপত্র দুবার হাতে পেয়েছেন।

ভূমি মাফিয়ারা একটি ষড়যন্ত্র করে এবং ২০১১ সালের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো সাধুর ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি করে। বিষয়টি জানতে পেরে সন্ন্যাসী পৌর কর্তৃপক্ষকে জানান। ২০১৮ সালে, সাধুর পক্ষ একটি আবেদন করা হয়েছিল, যা পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং ৮ই জুন ২০১৮ -তে তার মৃত্যুর শংসাপত্র বাতিল করা হয়েছিল।

ভূমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য এতটাই বেশি ছিল যে তারা আবার পৌর কর্পোরেশন থেকে ১লা নভেম্বর, ২০২১-এ আরেকটি মৃত্যু শংসাপত্র বার করে, যেখানে ওই সাধুকে তারা মৃত হিসাবে দেখিয়েছিল। সাধুকে মৃত দেখিয়ে কোনোও ভাবে এই আশ্রমের জমি দখল করতে চায় ভূমি মাফিয়ারা। সাধু কৃষ্ণ নন্দের মতে, তার অনুপস্থিতিতে ভূমি মাফিয়ারা আশ্রম ভেঙে জায়গাটি দখল করবে।

সাধু কৃষ্ণ নন্দ আবারও ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি হওয়ার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে পৌরসভার অফিসে যান। সাধু কর্তৃপক্ষকে তার ডেথ সার্টিফিকেট দেখিয়ে বলেন যে তিনি বেঁচে আছেন। কর্মকর্তারা সাধুকে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।

স্ব-বেঁচে থাকার শংসাপত্র:

আসলে, আশ্রমে ২২টি দোকান রয়েছে। এই সব দোকান ভাড়া নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আশ্রমটি ভূমি মাফিয়াদের নজরে রয়েছে। আশ্রম দখল করার জন্য তারা নানা ষড়যন্ত্র করেই চলেছে। সন্ন্যাসী জীবিত থাকলেও তার দুবার ডেথ সার্টিফিকেট বার করা হয়েছিল। তাই পৌর কর্পোরেশন ওই সাধুকে স্ব-বেঁচে থাকার শংসাপত্র দিয়েছে। পৌর কর্পোরেশনের কাউন্সিলররা তিন ব্যাক্তি অশোক রাঠোর, ফুলমালা রাঠোর এবং রবীন্দ্র সিং সাধু কৃষ্ণানন্দের সম্মতিতে একটি শংসাপত্র দিয়েছিলেন যেখানে তারা বলেছিলেন যে তারা ২৫ বছর ধরে মহাত্মাকে চেনেন। পৌর কমিশনার পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।

কৃষ্ণানন্দ স্বামী বলেন, কিছু লোক মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন থেকে তার ডেথ সার্টিফিকেট বের করেছিল। আগেও করা হয়েছে। কেউ কেউ আশ্রম দখল করতে চায়। আমাকে মারতে চায়। প্রশাসনের কাছে বহুবার অভিযোগ করেছেন ওই বৃদ্ধ। মিউনিসিপ্যাল কমিশনার ঘনশ্যাম মীনা বলেন, এই বিষয়টি নজরে এসেছে। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তাদের সিদ্ধান্ত এলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related posts

ডেটিং অ্যাপে মেয়ে সেজে যুবককে ফাঁদে ফেলল বৃহন্নলা, ফ্ল্যাটে ডেকে বানালো অশ্লীল ভিডিও! তারপর..

News Desk

অ্যাডাল্ট মডেলের পোস্টে এসে সাহায্য পার্থনা করলেন মহিলা! মডেলের উত্তর শুনে অবাক নেটিজনরা

News Desk

করোনা কালে ব্যবসায় মন্দা! মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে আবাসনের ছাদ থেকে মরনঝাঁপ ব্যবসায়ীর

News Desk