কিছুতেই যেন স্বস্তি পাচ্ছেনা মানুষ,২০২১ শেষের দিকে এসেও ওমিক্রন নিয়ে চিন্তায় ভুগছে মানুষ। করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন দাপটের সাথে ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। যদিও দেশের করোনা গ্রাফ নিম্নমুখী তবুও যেন চিন্তামুক্ত হওয়া যাচ্ছেনা ওমিক্রনের জন্য। দেশে করোনা সংক্রমণ গত ২৪ ঘন্টায় অনেকটাই কমেছে তবুও যেন নিশ্চিন্ত হওয়া যাচ্ছেনা। আক্রান্ত ৬৫৩১ জন একদিনে। তবে মৃত্যু হার অনেকাংশে বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৩১৫ জন করোনার বলি, যা অনেকটাই বেশি রবিবারের তুলনায়। এদিকে, ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সাম্প্রতিক স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, দেশের ৫৭৮ জনের শরীরে এই মুহূর্তে বাসা বেঁধেছে ওমিক্রন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান মতে , করোনার কবল থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭১৪১ জন। দেশে মোট সুস্থতার সংখ্যা এ নিয়ে ৭৫,৮৪১। মাত্র ১৬২ ছিল রবিবার করোনায় মৃতের সংখ্যা, আর সেটাই সোমবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১৫। সবচেয়ে বেশি জেরবার ওমিক্রনের দাপটে দিল্লি, মহারাষ্ট্র। দুই রাজ্যে নয়া স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪০ ছাড়িয়েছে।
ফের কড়া বিধিনিষেধের পথে হেঁটেছে রাজধানী দিল্লি (Delhi) ওমিক্রন সামলাতে। সোমবার থেকে এখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য নাইট কারফিউ জারি হচ্ছে। কারফিউ ঘোষণা করেছে কেজরিওয়াল সরকার রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত। অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণ বাড়ায় মঙ্গলবার থেকে কর্ণাটকেও রাত ১০ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আপাতত এই বিধিনিষেধ থাকবে ১০ দিন। অসমও একমাসের জন্য নাইট কারফিউ চালু করেছে। রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ মধ্যপ্রদেশ, গুজরাটেও জারি।
অন্যদিকে, নতুন করে যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে প্রিকশন বা বুস্টার ডোজ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। নতুন বছর তা চালু হবে ১০ জানুয়ারি থেকে। প্রথম ধাপে এই ডোজ দেওয়া হবে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা এবং ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বলে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আবার ভ্যাকসিন চালু হবে দেশে ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত বয়সীদের। সবমিলিয়ে, ভ্যাকসিনের উপরেই ভরসা করছে ওমিক্রনের বিপদ রুখতে ফের কেন্দ্রীয় সরকার।