চিনে নতুন করে দাপট শুরু করেছে ওমিক্রনের সাব-স্ট্রেন। ফের আক্রান্ত হচ্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যায় চিনকেও টেক্কা দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। একদিনেই সেদেশে আক্রান্ত সাড়ে ৪ লক্ষ। ইজরায়েলে আবার নতুন করোনার স্ট্রেনের দেখা মিলেছে। সব মিলিয়ে গোটা বিশ্বে করোনা পরিস্থিতি ফের সংকটজনক হওয়ার ইঙ্গিত মিলছে। তাই আগেভাগেই আধিকারিকদের সতর্ক করে দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এই দেশগুলির পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে।সেই সঙ্গে সবরকমভাবে প্রস্তুত থাকতেও বলা হয়েছে। তবে, আশার কথা হল এই দেশগুলিতে আক্রান্ত বাড়লেও ভারতে এখনও পরিস্থিতির তেমন অবনতি হয়নি।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ২ হাজার ৫৩৯ জন। গতকাল যা এর থেকে সামান্য বেশি ছিল। সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমলেও খানিকটা চিন্তায় রাখছিল দেশের মৃত্যুহার। যদিও গত কয়েকদিনে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬০ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডের বলি ৫ লক্ষ ১৬ হাজার ১৩২ জন।
দেশের অ্যাকটিভ কেস কমতে কমতে নেমে এসেছে ৩০ হাজারের ঘরে। বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩০ হাজার ৭৯৯ জন। অ্যাকটিভ কেসের হার কমে দাঁড়িয়েছে ০.০৭ শতাংশে। একই সঙ্গে স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ৫৪৬ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৪ হাজার ৪৯১ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৭৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৮০ কোটি ৮০ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন ১৭ লক্ষের বেশি। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ফের মনে করিয়ে দিয়েছে, সংক্রমণ থেকে বাঁচতে জোড়া ডোজের পর বুস্টার ডোজও প্রয়োজন। টিকাকরণের পাশাপাশি চলছে টেস্টিংও। গতকাল যেমন ৭ লক্ষের ১৭ হাজার ৩৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।