নতুন বছর পড়তে না পড়তেই ওমিক্রনের কারণে তৃতীয় ঢেউ হানা দিয়েছিল ভারতে। লাখে লাখে আক্রান্ত হচ্ছিল ভারতে। অবশ্য কড়া লকডাউন, সামাজিক বিধিনিষেধ, জোর কদমে টিকাকরণে কারণে আবারও আস্তে আস্তে সুস্থতার পথে ভারত। ওমিক্রন আতঙ্ক থেকে বেরিয়ে এসে আবারো স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে দেশ। দৈনিক সংক্রমণ বেশ কয়েক দিন ধরেই নিম্নমুখী। খুলছে স্কুল-কলেজ। তাই ভয় কাটছে করোনা ভাইরাস এর তৃতীয় ঢেউয়ের। যদিও এখনও মাথাব্যথার কারণ হয়ে রয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের মৃত্যুহার ।
সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনা (Coronavirus) গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ১১৩ জন। যা প্রায় ১০ হাজার কম গতকালের তুলনায়।
স্বস্তি দিয়ে অ্যাকটিভ কেসও কমছে। বর্তমানে দেশে ৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ৮৮২ জন সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা। অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১.১২ শতাংশে নেমে এসেছে। এই মুহূর্তে করোনা পজিটিভিটি রেট ৩.১৯ শতাংশ ভারতে। ধীরে ধীরে শিথিল হচ্ছে বিধিনিষেধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায়। আজ থেকে নার্সারি স্কুলও রাজধানী দিল্লিতে খুলে যাচ্ছে। এবার স্কুলে গিয়ে পঠনপাঠন করবে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারাও।
অবশ্য এখনও পর্যন্ত চিন্তা ধরাচ্ছিলো মৃত্যু হার। দৈনিক মৃতের সংখ্যা তে কিছুটা কম হলেও এখনও যে মারণ ভাইরাস নিজের ক্ষমতা হারায়নি, সেটা দৃশ্যমান ছিল।
তাই সংক্রমণ কমলেও চিন্তায় রাখছিল দেশের মৃত্যুহার। তবে পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। ভারতে একদিনে ৩৪৬ জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। যা অনেকটা কম গতকালের তুলনায়। দেশে ৫ লক্ষ ৯ হাজার ১১ জন এখনও পর্যন্ত কোভিডের বলি।