নতুন বছর পড়তে না পড়তেই ওমিক্রনের কারণে তৃতীয় ঢেউ হানা দিয়েছিল ভারতে। লাখে লাখে আক্রান্ত হচ্ছিল ভারতে। অবশ্য কড়া লকডাউন, সামাজিক বিধিনিষেধ, জোর কদমে টিকাকরণে কারণে আবারও আস্তে আস্তে সুস্থতার পথে ভারত। দীর্ঘ এক মাস পর নতুন করে একদিনে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা নামল ১ লক্ষের নিচে। অবশ্য এখনও চিন্তা ধরাচ্ছে মৃত্যু হার। দৈনিক মৃতের সংখ্যা তে কিছুটা কম হলেও এখনও যে মারণ ভাইরাস নিজের ক্ষমতা হারায়নি, সেটা দৃশ্যমান।
সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক (Ministry of Health and Family Welfare) থেকে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৭৬ জন। যা আগের দিনের তুলনায় অনেকটাই কম। রবিবারে প্রকাশিত রিপোর্টে নতুন আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল ১ লক্ষ ৭ হাজারের অল্প বেশি। স্বস্তি জাগিয়ে হ্রাস পেয়েছে করোনা অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে দেশে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা ১১ লক্ষ ৮ হাজার ৯৩৮। হ্রাস পেয়েছে দৈনিক পজিটিভিটি রেটও। এই মুহূর্তে দেশে করোনা পজিটিভ রেট ৭.২৫ শতাংশ। আস্তে আস্তে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় ছাড় দেওয়া হচ্ছে বিধিনিষেধে। অনেক রাজ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ। কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টাতেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৮৯৫ জন। গতকালের তুলনায় আবারও বাড়ল দৈনিক মৃত্যু। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ লক্ষ ২ হাজার ৮৭৪ জন।
তবে আশার আলো দেখাচ্ছেন করোনাজয়ীরা উদ্বেগের মাঝেও। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে ৪ কোটি ৬৬ লক্ষ ২০২ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন এখনও পর্যন্ত। যার মধ্যে ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫৪ জন গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন। সুস্থতার হার ৯৬.১৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, দেশে প্রায় ১৬৯.৬৩ কোটির বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে এখনও পর্যন্ত। এর মধ্যে ১৪ লক্ষের বেশি গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন। যা উল্লেখযোগ্য ভাবে অন্যান্য দিনের তুলনায় কম। তবে আগের মতোই চলছে টেস্টিংও টিকাকরণের পাশাপাশি। যেমন ১১ লক্ষের ৫৬ হাজার ৩৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে গতকাল।