করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের করোনা পরিস্থিতি এখনও আয়ত্তের বাইরে। কাল অবধি নিন্মমুখী ছিল সংক্রমনের গ্রাফ। কিছুটা সস্তিও দিচ্ছিল লাগাতার নিন্মমুখী সংক্রমনের গ্রাফ। কড়া সামাজিক বিধিনিষেধ, আঞ্চলিক লকডাউন, সাধারণ মানুষের নিজে থেকেই সচেতন হওয়া এবং টিকাকরণ এবং কোভিড টেস্টিংয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে সোমবার দুই লক্ষেরও নিচে নেমে গেছিলো দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। তার সঙ্গে কিছুটা হলেও কমেছিল মৃত্যুও। কমছিল অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় আবারও ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমন এবং মৃত্যুর হার। ২ লাখের গণ্ডি পার করলো দৈনিক সংক্রমন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ হাজার ১৫৭ জন মানুষ। এর সাথে সাথে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দুই লক্ষ্যের থেকে কিছুটা বেশি। কমছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮ হাজার ৯২১ জন মানুষ। আর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী কোভিড থেকে মুক্ত হয়েছেন ২ লাখ ৯৫ হাজার ৯৫৫ জন। এই নিয়ে এই দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২ কোটি ৭১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯৫ জনে। এখনও অবধি করোনা কে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ৮১৬ জন। দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা এই নিয়ে হলো ৩ লাখ ১১ হাজার ৩৮৮ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লাখ ৯৫ হাজার ৫৯১। বেশ কিছু দিন ধরে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা থেকে বেশি হওয়ায় অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমছে, কিন্তু সোমবার মৃত্যুর সংখ্যায় সামান্য কিছুটা হ্রাস পেলেও গত ২৪ ঘন্টায় ফের বাড়লো মৃত্যুর সংখ্যা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে ভ্যাকসিন পেয়ে গিয়েছেন ২০ কোটি ৬ লক্ষ ৬২ হাজার ৪৫৬ জন। শুধু তাই নয়, কেন্দ্র লাগাতার দৈনিক করোনা পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়াচ্ছে। দেশের বেশিরভাগ রাজ্যে লকডাউন ও ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি বেশ কিছুটা এগিয়ে যাওয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। তবে এর মধ্যে আবারও সংক্রমনের হার ঊর্ধ্বমুখী হওয়া চিন্তায় রাখলো, সেই সাথে চিন্তায় রেখেছে বাড়িয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস এর সংক্রমন। এর জন্যও মৃত্য ঘটছে বহু মানুষের। রাজ্যেও ধরা পড়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস।