গত বছর করোনা আবহে পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়েছিল আমফান। সুপার সাইক্লোন আম্ফান এর আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে গেছিলো বাংলা। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল বহু মানুষ। সেই স্মৃতি উসকে বঙ্গোপসাগরের বুকে আবারও তৈরী হচ্ছে এক ঘূর্ণিঝড়। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ। যা ঘূর্ণাবর্তে পরিবর্তিত হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী, সুন্দরবনে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। তারপর অভিমুখ পরিবর্তন করে সরে যেতে পারে বাংলাদেশের দিকে।
আগামী ২৩ মে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হতে পারে বলে জানাচ্ছে। ওইদিনই বলা যাবে এই নিম্নচাপের পরবর্তী গতিবিধি কী হবে। এখনই ঘূর্ণিঝড়ের কোনো সতর্কতা জারি করা হচ্ছে না।
সূত্রের খবর, বঙ্গোপসাগরের বুকে এই ঘূর্ণিঝড় পরিণত হলে তার নাম হবে ‘যশ’। মনে করা হচ্ছে যদি এই ঘূর্ণিঝড় তৈরী হয় এর জেরে এই মাসের শেষের দিকে প্রবল ঝড়, বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ঘুর্ণিঝড়ের তীব্রতা আমফানের থেকেও অনেক বেশি হতে পারে।
গত কয়েক দিন ধরেই অসহ্য গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী। রীতিমত তাপ প্রবাহ চলছে সারা বাংলায়। গরমে অস্থির হয়ে উঠছেন সকলে। এসবের মাঝেই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
তবে সাইক্লোন একদিনে তৈরি হয় না। সাইক্লোনের প্রথমে নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়। এরপরে সময় নিয়ে তৈরি হয় নিম্নচাপ। এই নিম্নচাপই এরপর আস্তে আস্তে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়। এবং তা অতি গভীর নিম্নচাপে পরিনত হয়। এরপর সাইক্লোনিং স্টর্ম তৈরি হয়। তারপর সিভিয়ার সাইক্লোন তৈরি হয়। এরপর ধাপে ধাপে সিভিয়ার সাইক্লোন, এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোন থেকে আস্তে আস্তে শক্তি সঞ্চয় করে সুপার সাইক্লোন তৈরি হয়। ঝড়ের ঘূর্ণনের গতিবেগের উপর ভিত্তি সাইক্লোন না সুপার সাইক্লোন তা আগাম জানানো হয়।