এ যেন এক সিনেমার দৃশ্য। মণ্ডপে বসে বিয়ে বিয়ে সারছিল বর মশাই। হঠাৎই সেখানে হাজির পুলিশ। সেখান থেকে বর বাবাজীবন কে সরাসরি অ্যারেস্ট করে চালান করা হাজতে। বিয়ের মণ্ডপের জায়গায় তার ঠিকানা হয় শ্রীঘর।
এই চমকপ্রদ ঘটনাটি সামনে এসেছে ঝাড়খণ্ডের দেওঘর থেকে। যেখানে এক সাইবার অপরাধের অপরাধীকে বিয়ের মণ্ডপ থেকে তুলে সোজা জেলে নিয়ে গেছে পুলিশ। বলা হচ্ছে অভিযুক্তকে আগে গ্রেফতার করা হলেও সে পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। অনেকদিন থেকেই তাকে খুঁজছিল পুলিশ। বিয়ে দেখতে এসে তার জায়গায় এমন ঘটনা দেখার পর গ্রামের সকলেই হতভম্ব।
ঘটনাটি দেওঘরের গিরিডিহের গান্ডে থানার অন্তর্গত চারঘরা গ্রামের। পুলিশ রীতিমত ফিল্মি স্টাইলে এসে দুলহে রাজা কে মণ্ডপ থেকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সবাই কি হচ্ছে বুঝতে না পেরে হতবাক হয়ে যায়। জানা গিয়েছে চারঘড়া গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু যাদবকে সাইবার ক্রাইম মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত আগে একবার পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়। বহুদিন ধরেই তাকে খুঁজছিল পুলিশ।
পলাতক পিন্টুর মনে হয় সে পুলিশকে ফাঁকি দিতে থাকবে। কিন্তু পুলিশ গোপন খবর পায় যে পিন্টু যাদব মিছিল নিয়ে দেওঘরের সোনারায়থাদি থানার অন্তর্গত ঢোলপাহাড়ি গ্রামে পৌঁছবে। যেখানে পুলিশ ফাঁদ বেঁধে তাকে রাউন্ডের আগেই মণ্ডপ থেকে গ্রেপ্তার করে। বিয়ের মণ্ডপ থেকে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর এএসআই সহবীর ওরাওঁ ও সোনারয়দী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত পিন্টু যাদব বিয়ের নামে মেয়ের পরিবারকে প্রতারণার শিকার বানাচ্ছিল। দীর্ঘদিন ধরে তাকে বিভিন্ন মামলায় ওয়ান্টেড হিসাবে খুঁজছিল পুলিশ। এরপর আর কোথাও থেকে গ্রেফতার না হয়ে শেষে বিয়ের মণ্ডপ থেকেই সরাসরি লক-আপে পৌঁছেছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ১৪ই ফেব্রুয়ারি সাইবার পুলিশ অফিসার মহেন্দ্র দাস পিন্টু যাদবের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন। নথিভুক্ত মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি কয়েকজনকে নিয়ে সাইবার জালিয়াতির ঘটনাটি ঘটিয়েছেন।