কৃষকরা (Farmers) যাতে তার ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলের ক্ষতি হলে , তার জন্য ৩১ আগস্টের মধ্যে নাম নথিভূক্ত করতে পারবেন বাংলা শস্য বিমায় (Cops Policy) কৃষকরা । সম্প্রতি নবান্নে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার বিমার কিস্তির টাকা দেবে। কৃষকরা এই বিমার সুবিধা পাবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে (আলু ও আখ ছাড়া)।
এখন ফসলের স্বাস্থ্য নির্ধারণ ও ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারিত করা হয়, অত্যাধুনিক উপগ্রহ ভিত্তিক রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তির মাধ্যমে ও আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য ব্যবহার করে। চলতি খরিফ মরসুমেও এই ব্যবস্থা ব্যবহার করা হবে। এক্ষেত্রে কৃষকরা বিমার সুবিধা পাবেন ধান ও ভুট্টা এই দুটি শস্যের ক্ষেত্রে।
এদিন কৃষিমন্ত্রী জানান, গত বছর প্রায় ৬৩ লক্ষ ২২ হাজার কৃষক নাম নথিভুক্ত করেন খরিফ মরসুমে। যার মধ্যে কৃষক ক্ষতিপূরণের টাকা পান প্রায় ৩ লক্ষ ৫০ হাজার ৮১৬ জন। প্রায় ১০৬ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা যার পরিমাণ। গত বছর রবি মরসুমের জন্য প্রায় ৫৩ লক্ষ কৃষক নথিভূক্ত হন, বলে জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, যাতে আরও বেশি করে কৃষকরা পেতে পারেন বিমার সুবিধা, প্রতিটি গ্রামে তার জন্য প্রচার করতে বলা হয়েছে। কড়া নজরদারি থাকছে প্রকল্পের কাজে। নিয়মিত জেলা থেকে এ বিষয়ে রিপোর্ট নেওয়া হবে।
বহু গ্রাম গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টি এবং বাঁধ থেকে ছাড়া জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। বহু জমি জলের তলায়। ফলে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে চাষবাসের। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। রাজ্য সরকার (WB Govt.) শস্যবিমার মাধ্যমে তাঁদের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।