শুরু থেকেই কোন করোনা টিকার কার্যকারিতা বেশি সেই নিয়ে চলছে বিতর্ক, গবেষণা! করোনা ভাইরাস (Coronavirus) থেকে কোন ভ্যাকসিন দেবে দীর্ঘকালীন সুরক্ষা সেই ঘিরে প্রবল আগ্রহ। করোনা ভাইরাসের শুরু থেকেই করোনা টিকা ঘিরে চলছে গবেষনা।
কেনোনা করোনা ভ্যাকসিনই (Corona Vaccine) একমাত্র উপায় এই মহামারীর হাত থেকে নিষ্ক্রমন পাওয়ার। বিজ্ঞানী, গবেষকদের নিরন্তর প্রচেষ্টায় আবিষ্কার হয়েছে বেশ কয়েক ধরনের টিকা। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই চলছে করোনা থেকে বাঁচতে টিকাদান কর্মসূচি।
কিন্তু আবিষ্কৃত কোন টিকাটি দেবে সর্বাধিক বেশি সুরক্ষা তা ঘিরে রয়েছে নানা জল্পনা। এবারে এই বিষয়ে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল নেচারে। নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানানো হয়, অক্সফোর্ড এবং সুইজারল্যান্ডের একদল বিজ্ঞানী গবেষণার মাধ্যমে জানিয়েছেন কোভিশিল্ড (Covishield) অর্থাৎ, অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দুটো ডোজ নেওয়া থাকলেই আজীবন মিলবে করোনা থেকে সুরক্ষা।
গবেষকদের দাবি, অ্যাডিনো ভাইরাস ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে করোনা টিকা কোভিশিল্ড। করোনা টিকা নেওয়া মাত্রই অ্যাডিনো ভাইরাসটি মানব শরীরে ফাইব্রোব্লাস্টিক রেটিকিউলাস সেলে ঢুকে পড়ে। সেই কারণে করোনা ভাইরাস-ধ্বংসকারী অ্যান্টিবডি তৈরি ছাড়াও ভ্যাকসিনটি সার্চ-অ্যান্ড-ডেস্ট্রয়ার টি-সেলকে (T-Cell) তৈরী করে মানব শরীরে।
এই কারণে মানব শরীরের মধ্যেই টি-সেলের ট্রেনিংয়ের পরিবেশ তৈরি করে হয়। ফলে, সেটি ভবিষ্যতেও নিজের চরিত্র পাল্টে যে স্ট্রেন নিয়েই করোনা ভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট শরীরে ঢুকুক না কেন তার বিরুদ্ধেও সমান কার্যকরী হবে।
ফলে অ্যান্টিবডির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও বহুদিন পর্যন্ত শরীরে এই গুরুত্বপূর্ণ টি-সেলগুলি তৈরি হতে থাকবে। সম্ভবত আজীবনই তা তৈরী হবে, এমনটাই বলছে গবেষণা। আর এই দিক থেকেই অন্যান্য আরএনএ (RNA) টিকা মডার্না বা ফাইজার কে পিছনে ফেলে দিয়েছে কোভিশিল্ড।
এর ফলেই গবেষকদের জোরালো দাবি অক্সফোর্ডের আবিষ্কৃত কোভিশিল্ডের দু’টি ডোজই একজন মানুষকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন থেকে আজীবন সুরক্ষা দিতে সক্ষম।