আজ সামান্য সস্তি মিলল দেশের করোনা গ্রাফে। গতকালই নতুন করে করোনা সংক্রমণ ছিল গত দু’মাসের মধ্যে সর্বাধিক। তবে আজ সামান্য কমলো। কিন্তু চিন্তা বাড়াচ্ছে ক্রমাগত বাড়তে থাকা করোনা অ্যাকটিভ কেস। যেভাবে আস্তে আস্তে বাড়ছে ভারতের অ্যাক্টিভ কেস তাতে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা প্রকট হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) থেকে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ৪৫ হাজার ৩৫২ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। যা গতকালের থেকে কিছুটা হলেও কম। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪৭ হাজার ৯২ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছিল ৪১ হাজার ৯৬৫ জন। এর আগের দিন মঙ্গলবার দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৯৪১ জন। সোমবার দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪২ হাজার ৯০৯ জন। রবিবার দেশে করোনা ভাইরাসে ৪৫ হাজার ৮৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৯ লক্ষের বেশি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ৩৬৬ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫০৯ জন। এর আগের দিন বুধবার দেশে মারা গিয়েছিলেন ৪৬০ জন। মঙ্গলবার মারা গেছেন ৩৫০ জন। সোমবার করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৮০ জন। রবিবার মারা গেছেন ৪৬০ জন। শনিবার মারা গেছেন ৫০৯ জন। এই নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮৯৫ জন।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা কে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩৪ হাজার ৭৯১ জন। বৃহস্পতিবার সুস্থ হয়ে উঠছেন ৩৫ হাজার ১৮১ জন। গতকাল বুধবার দেশে সুস্থ হয়েছেন ৩৩ হাজার ৯৬৪ জন। মঙ্গলবার দেশে সুস্থ হয়েছেন ৩৬ হাজার ২৭৫ জন। সোমবার সুস্থ হয়েছেন ৩৪ হাজার ৭৬৩ জন। এর আগের ২৪ ঘন্টায় রবিবার সুস্থ হয়েছেন ৩৫ হাজার ৮৪০ জন। শনিবার করোনা মুক্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৩৭৪ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ২০ লক্ষ ৬৩ হাজারের বেশি মানুষ।
দৈনিক সুস্থতার সংখ্যাটা দৈনিক আক্রান্তের থেকে বেশ কম হওয়ায় একলাফে অনেকটা বেড়েছে অ্যাকটিভ কেস। বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯৯ হাজার ৭৭৮ জন। ইতিমধ্যেই ভারতে করোনার টিকার ডোজ পেয়েছেন ৬৭ কোটি ৯ লক্ষ মানুষ।