দেশ থেকে কখনই একেবারে মুছে যাবে না করোনাভাইরাস (Coronavirus)। ধীরে ধীরে এই অতিমারী (Pandemic) পৌঁছাবে এন্ডেমিক স্তরে (Endemic)। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিনত হবে ইনফ্লুয়েঞ্জায় (Influenza)। একটা নির্দিষ্ট এলাকায়, একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক জনসংখ্যার মধ্যে সবসময়ই উপস্থিতি থেকে যাবে এই ভাইরাসের। এমনটাই জানিয়েছেন আইসিএমআরের (ICMR) এপিডেমিওলোজি ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডক্টর সমীরণ পাণ্ডা। যার অর্থ হল, বাকি সমস্ত ইনফ্লুয়েঞ্জার মত করোনা ভাইরাস ইনফ্লুয়েঞ্জাও ‘আজীবন থেকে থাকবে’ একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে।
সময়ের সাথে ক্রমশ কমতে চলেছে করোনা ভাইরাসের প্রভাব। তবে স্পর্শকাতর ব্যাক্তিদের করোনা ভাইরাসের ইনফ্লুয়েঞ্জার থেকে রক্ষা পেতে তাদের বছরে নিয়মিত ভাবে নিতে হবে করোনা ভ্যাকসিন একবার করে। সকলকেই ভ্যাকসিন নিতে হবে। এক্ষেত্রে দেশে উৎপন্ন টিকাই নিতে হবে যত দ্রুত সম্ভব। বাকি বিশ্ব সেই টিকাকে অনুমোদন দিচ্ছে কি দিচ্ছে না তার অপেক্ষা না করেই।
আইসিএমআরের (ICMR) সমীরণ পান্ডার মতে, করোনাভাইরাস তার প্রভাব কমাতে কমাতে এন্ডেমিক স্তরে পৌঁছলেও তার প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে বছরে একবার করে করোনা টিকাকরণের দরকার পড়বে। তিনি আরও জানান, ১০০ বছর আগে বিশ্বে ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়েছিল অতিমারির আকার। মারা গিয়েছিল বিশ্বব্যাপী বহু মানুষ। কিন্তু আসতে আসতে প্রভাব কমতে কমতে বর্তমানে সময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এন্ডেমিক বা আঞ্চলিক একটি রোগে পরিণত হয়েছে। সেই ভাবেই বর্তমান সময়ের ভয়াবহতা কাটিয়ে করোনাভাইরাসও একদিন এন্ডেমিক স্তরে পৌঁছবে। তাই সকল কে অযথা আতঙ্কিত না হয়ে পড়তেই অনুরোধ করেছেন আইসিএমআরের এপিডেমিওলোজি ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডক্টর সমীরণ পাণ্ডা।
পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন
যে সমস্ত মায়েরা সন্তানদের স্তন্যপান করান, তাদের ভ্যাকসিন নিতে কোনো অসুবিধে নেই। সমীরণবাবুর বক্তব্য, ‘মায়ের শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে, তা স্তন্যপান করানোর ফলে সন্তানের জন্যও সময়ের সাথে উপযোগী হয়ে উঠবে। এতে সন্তানেরও করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।’