করোনার তৃতীয় ঢেউ দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতোই ধ্বংসাত্মক হতে পারে। সুদীর্ঘ ৯৮ দিন ধরে চলতে পারে এই তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা। সম্প্রতি এই দাবি করা হয়েছে এসবিআই রিপোর্টে। তবে সেখানে বলা হয়েছে, যদি আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকাকরণের আওতায় আনা যায় ও হসপিটাল পরিকাঠামোর উন্নতি করা যায়, তা হলে অনেকটাই মৃত্যুর সংখ্যা কমতে পারে। তবে তৃতীয় ঢেউ পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া যাবেনা। দাবি করা হয়েছে ৫ পাতার এক রিপোর্টে, এই ঢেউ উন্নত দেশগুলিতে চলবে ৯৮ দিন। এই সংখ্যাটি ছিল ১০৮ দিন দ্বিতীয় ঢেউয়ের ক্ষেত্রে। রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ‘দেশগুলিতে যদি গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগীর (যাঁদের অক্সিজেন, আইসিইউ শয্যা প্রয়োজন) সংখ্যা কমানো যায়, তা হলে মৃত্যুও কমতে পারে ’।
রিপোর্টে স্পষ্ট অনুমান করা হয়েছে মৃত্যুর বিষয়ে। লেখা হয়েছে, ‘গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যদি গুরুতর অসুস্থ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নেমে আসে (অবশ্যই স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি ও টিকাকরণের জন্য) তা হলে মৃত্যুর সংখ্যাও কমে হতে পারে ৪০ হাজারের কাছাকাছি তৃতীয় ঢেউয়ের সময়ে, যেখানে ১ লক্ষ ৭০ হাজার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ’। তবে আলাদা করে চিন্তার কারণ থেকেই যাচ্ছে শিশুদের নিয়ে । তৃতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ কমাতে মূল লক্ষ্য শিশুদের টিকাকরণ হওয়া উচিত বলেও রিপোর্টে লেখা হয়েছে। ভারতে রয়েছে ১৫-১৭ কোটি শিশু যাদের বয়স ১২ থেকে ১৮-এর মধ্যে। উন্নত দেশগুলির মতো এই বয়সসীমার শিশুদের টিকাকরণের আওতায় আনতে হবে ভারতকেও’।
টিকাকরণের বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ তৃতীয় ঢেউয়ের ক্ষেত্রে। সেই বিষয়ে আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, ভারতে দৈনিক ১ কোটি টিকাকরণ সম্ভব হবে জুলাইয়ের শেষ ও অগস্টের শুরুর দিকে । আর যদি তাই হয়, তা হলে ভারতে ডিসেম্বরের মধ্যে টিকাকরণ শেষ হবে । নীতি আয়োগের এক সদস্য ভি. কে. পল জানিয়েছিলেন, শিশুদের উপর প্রভাব পড়বে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে, এমনটা আশঙ্কা করছে কেন্দ্রও। সে দিক থেকে দেখতে গেলে, যদি জুলাই থেকে অনেকটাই বৃদ্ধি করা যায় টিকাকরণ, তা হলে কমবে দেশের তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব । সেক্ষেত্রে শিশুরাও অনেকটা সুরক্ষিত হবে।