করোনা আতঙ্কের এক বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। তবে আগের আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই নতুন রূপে ফিরে এসেছে করোনা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল দেশবাসী। এই সময়ে দাঁড়িয়ে ঠিক কী করণীয়? বলা হচ্ছে আগের থেকে অনেক বেশি মারাত্মক এই নতুন ভাইরাস। কেন? কোভিড ১৯-এর দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে মানুষের প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেলো চিকিৎসকদের থেকে। কি বলছে চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকদের মতে এর কারণ হলো ভাইরাসের মিউটেশন। করোনা ভাইরাসের রূপ বদলের কারণেই এত বেশি মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে আক্রান্তের সংখ্যা। দ্রুত ছড়ানোর জন্য মানুষের মধ্যে এইবার ইনফেকশন রেটও অনেকটাই বেশি। দ্বিতীয় কারণ অবশ্যই হলো মানুষের নিজস্ব গাফিলতি। এত প্রচার সত্ত্বেও অনেক মানুষই ঠিকভাবে মাস্ক পরছে না, সামাজিক দুরত্ব বিধি মেনে চলছে না। বিনা প্রয়োজনে দোকান বাজারে ভীড় বাড়াচ্ছে। যে কারণে এতটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস।
আরও একটি প্রশ্ন যা মানুষের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে তা হল কোভিডের এই দ্বিতীয় ঢেউয়ের মূল উপসর্গগুলি কী কী?
সেক্ষেত্রে জানা যাচ্ছে গত বছরের মতো, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়েও সর্দি, জ্বর, গলা ব্যথা, স্বাদ গন্ধ ইত্যাদি না পাওয়ার মতো বিষয়গুলি রয়েছে। তবে এই নতুন ভাইরাস মিউটেশনে দু’টি নতুন উপসর্গ দেখা গিয়েছে। সেগুলি হল ডায়েরিয়া আর গায়ে র্যাশ ।
তবে এই বছরে বাজারে এসেছে করোনার ভ্যাকসিন। ভারতে দেওয়া হচ্ছে ২ টি ভ্যাকসিন, কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন। সরকারি একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে ইনফেকশনের সংখ্যাটা মাত্র ০.০৪ শতাংশ। তবে সবার ভ্যাকসিন পেতে এখনো দেরি আছে। তাই ডাক্তাররা বারংবার অনুরোধ করছে মাস্ক পড়তে ও সামাজিক দুরত্ববিধি মেনে চলতে।