দেশের করোনাপরিস্থিতি এখনও ভয়ঙ্কর। তবে সস্তি দিচ্ছে লাগাতার নিন্মমুখী সংক্রমনের গ্রাফ। কড়া সামাজিক বিধিনিষেধ, আঞ্চলিক লকডাউন, সাধারণ মানুষের নিজে থেকেই সচেতন হওয়া এবং ভ্যাকসিনেশন এবং টেস্টিংয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি ইত্যাদি বিভিন্ন চেষ্টার ফল মিলেছে। যার ফলে রবিবার আড়াই লক্ষেরও নিচে নেমে এল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। কিন্তু সব থেকে বড় সস্তির খবর সেই সঙ্গে কমছে মৃত্যুও। আর সুস্থতার সংখ্যাও ঊর্ধ্বমুখী। যে কারণে কমছে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা।
অনেক দিন পরে কোভিডে মৃত্যু ৪ হাজারের গণ্ডি পার করলো না। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৭৪১ জন মানুষ। তবে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই লক্ষ্যের কিছুটা কম। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা হ্রাস পাওয়ায় কমছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৪০ হাজার ৮৪২ জন করোনা জন মানুষ। আর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী কোভিড থেকে মুক্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ১০২ জন। এই নিয়ে এই দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২ কোটি ৬৫ লক্ষ ৩০ হাজার ১৩২ জনে। এখনও অবধি করোনা কে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৩৪ লক্ষ ২৫ হাজার ৪৬৭ জন। দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা এই নিয়ে হলো ২ লাখ ৯৯ হাজার ২৬৬ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী অ্যাক্টিভ সংখ্যা ২৮ লাখ ৫ হাজার ৩৯৯। বেশ কিছু দিন ধরে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা থেকে বেশি হওয়ায় অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমছে, কিন্তু সাথে সাথে গত বেশ কিছু দিন ধরেই দেখা যাচ্ছিল ৪ হাজারের গণ্ডি পার করে চলেছিল দৈনিক মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সেই সংখ্যায় কিছুটা হ্রাস পাওয়া গেলো।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে ভ্যাকসিন পেয়ে গিয়েছেন ১৯ কোটি ৫০ লক্ষ ৪ হাজার ১৮৪ জন। শুধু তাই নয়, কেন্দ্র লাগাতার দৈনিক করোনা পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়াচ্ছে। শনিবার দেশে ২১ লক্ষের বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। দেশের বেশিরভাগ রাজ্যে লকডাউন ও ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি বেশ কিছুটা এগিয়ে যাওয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। তবে এর মধ্যে কিছুটা চিন্তায় রেখেছে বাড়িয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। এর জন্যও মৃত্য ঘটছে বহু মানুষের। রাজ্যেও ধরা পড়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস।