দেশে মহামারীর চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে। গত কয়েকদিনে যেভাবে কোভিড (COVID-19) গ্রাফ লাফিয়ে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, তাতে এই আশঙ্কা স্বাভাবিক। তবে সপ্তাহের প্রথম দিন সামান্য কমল করোনা সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেস। চিন্তায় রাখছে পজিটিভিটি রেটও। যদিও বিশেষজ্ঞদের আশ্বাস, এখনই আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। তবে নতুন করে বিধিনিষেধ জারি কথাও পক্ষে মত দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৮৪ জন। যা রবিবারের তুলনায় বেশ খানিকটা কম। এনিয়ে গত তিনদিন ধরেই দৈনিক করোনায় আক্রান্ত ৮ হাজারের বেশি। একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন, রবিবার এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৪। বর্তমানে দেশে করোনার অ্যাকটিভ কেস (Active cases) ৪৭ হাজার ৯৯৫ জন। অ্যাকটিভ কেস পৌঁছে গিয়েছে ০.১১ শতাংশে। দৈনিক পজিটিভিটি রেট ৩ শতাংশ পেরিয়েছে। এই মুহূর্তে তা ৩.২৪ শতাংশ। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৭৭১ জন।
করোনায় দৈনিক আক্রান্তের হার ঊর্ধ্বমুখী, সুস্থতার হারও তেমন সন্তোষজনক নয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৬ লক্ষ ৫৭ হাজার ৩৩৫ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন মাত্র ৪ হাজার ৫৯২ জন। সুস্থতার হার এই মুহূর্তে ৯৮.৬৮ শতাংশ।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ১৯৫ কোটি ১৯ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা (Corona Vaccine) দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টাতেই ভ্যাকসিন পেয়েছেন ১১ লক্ষ ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। সূত্রের খবর, দেশের দৈনিক আক্রান্ত লাগাতার হু হু করে বাড়লেও এখনই নতুন করে কোনওরকম বিধিনিষেধ জারি করার কথা ভাবছে না সরকার। তবে একাধিক রাজ্যে নতুন করে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হতে পারে।