ছত্তিশগড়ের রায়গড় জেলা দায়রা আদালত এক মহিলাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এর সাজা দিয়েছে। অভিযুক্ত মহিলা এক নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেল করে ১০ হাজার টাকা দাবি করেছিল, যার জেরে নাবালিকা মেয়েটি দুশ্চিন্তায় আত্মহত্যা করেছে। এরপর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় অভিযুক্ত ওই মহিলা যার নাম রুকনি বারেথকে আটক করে আদালতে পেশ করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। মামলার প্রায় তিন বছর পর এখন মহিলাকে এই রায় দিয়েছেন আদালত।
পাবলিক প্রসিকিউটর অনুপ কুমার সাহু জানান, বিশেষ জজ জিতেন্দ্র কুমার জৈনের আদালত ওই নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। ওই মহিলা কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত একটি সরকারি স্কুলে ঝাড়ুদারের কাজ করতেন, যেখানে পড়ত মৃতা নাবালিকা। ২০১৯ সালে, স্কুলের বাচ্চাদের খেলাধুলার জন্য রাজনন্দগাঁও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। টুর্নামেন্টের ৪ দিন পর সেখান থেকে সবাই যখন ফিরছিল, তখন অভিযুক্ত মেয়েটিকে বলে, আমি তোমাকে একটি ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেখেছি। আমাকে ১০ হাজার টাকা না দিলে আমি তোমার পরিবার ও পরিচিত সকলের কাছে এ কথা বলে তোমার মানহানি করব।
অপবাদ ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ে ভয়ে ভীত হয়ে পরে স্কুল ছাত্রী:
অভিযুক্ত মহিলার ব্ল্যাকমেইলিং ও অপবাদের ভয়ে ভীত হয়ে মেয়েটি আত্মহত্যা করে। বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ ওই নারীকে এই ঘটনায় প্ররোচনা ও ব্ল্যাকমেইল করার দায়ে অভিযুক্ত হিসাবে বিবেচনা করে তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। রায়গড় জেলা দায়রা আদালতে মামলার শুনানি হয়। বুধবার, জেলা দায়রা আদালত, মহিলাকে দোষী সাব্যস্ত করে, অভিযুক্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার জন্য ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং এসসি এসটি আইনের অধীনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয়।