জাল পাসপোর্ট নিয়ে আমেরিকায় যাওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগে গুজরাতের এক দম্পতিকে রবিবার গ্রেফতার করা হয় আমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে।
আমেরিকায় পাকাপাকি ভাবে বসবাসের জন্য মরিয়া ছিলেন খেড়া জেলার মহুধা তালুকের অন্তর্গত সিঙ্গালি গ্রামের বছর ৩২-এর হিতেশ পটেল, তাঁর স্ত্রী বিনাল। তাদের বছর চারেকের এক মেয়েও রয়েছে। তারা যে কোনও ধরণের কাজ করতেও রাজি শুধু আমেরিকায় থাকতে চান।
২০১৮ সালে এই গুজরাতি দম্পতি আমেরিকা যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন প্রথম বার৷ কিন্তু সেই স্বপ্ন সে বার তাঁদের অধরা থেকে যায়। আয়ারল্যান্ড থেকেই তাঁদের ফেরত পাঠানো হয়েছিল সেই সময় জাল পাসপোর্ট ব্যবহারের জন্য।
আমেরিকায় থাকার স্বপ্ন এর পরেও ছাড়তে পারেননি দম্পতি। এক জন মানব পাচারকারীর সঙ্গে আমেরিকায় যাওয়ার স্বপ্ন সফল করতে এক কোটি টাকার চুক্তি করেন তাঁরা।
পাকাপাকি ভাবে বিদেশে গিয়ে থাকার জন্য হিতেশের স্ত্রী বিনাল ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকার চাকরি থেকে। দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয় ২০১৮ সালের ঘটনাটি গোপন করার জন্য এবং জাল পাসপোর্ট নিয়ে দুবাই সফরে যাওয়ার জন্য।
মামলার তদন্তকারী স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপের (এসওজি) এক আধিকারিক জানান যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন হিতেশ এবং বিনাল দুবাই-মেক্সিকো পথ দিয়ে। তাঁরা নতুন পাসপোর্টও জোগাড় করে ফেলেছিলেন মুম্বইয়ের এক জন মানব পাচারকারীর সহায়তায়।
আমেরিকায় পাকাপাকি ভাবে থাকেন হিতেশের বোন এবং ভগ্নীপতি, তাঁদের উপার্জনও সেখানে বেশ ভাল। আর এই কারণেই প্রচুর টাকার লোভে এমন ভুল করে বসেন পটেল দম্পতি।
অফিসার আরও জানিয়েছেন যে , ২০১৮ সালের জুনে ওই দম্পতি আয়ারল্যান্ডে যান এবং সেই দেশ থেকে তাঁদের নির্বাসিত করা হয় মাত্র চার দিনের মধ্যে। তাঁরা এক জন মানব পাচারকারীর সঙ্গে ভারতে পৌঁছনোর পরে যোগাযোগ করেন।হিতেশের শ্যালক মারফত সেই ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয়। তাঁদের পুরনো পাসপোর্ট বদলে ওই এজেন্ট তাদের নতুন বানিয়ে দেয়। আগে সফর করা কোনও দেশের সিলমোহর নতুন পাসপোর্টে ছিল না।
বিমানবন্দর থানায় প্রতারণা এবং জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল দম্পতির বিরুদ্ধে। তার তদন্তভার এখন এসওজি-কে হস্তান্তর করা হয়েছে।