জলপাইগুড়ির সার্ফের মোড় এলাকার বাসিন্দা অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১৯শে ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি সুপাল স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। তখনই করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে তাঁর। এরপর থেকেই জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার বিকালে তাঁর অবস্থার ক্রমেই অবনতি হতে শুরু করে। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয় তাঁকে। অ্য়াম্বুল্য়ান্সে করে মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাঁকে। অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু মাঝপথেই ভয়াবহ বিপত্তি। অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা অক্সিজেন ফুরিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এরপরই ভয়াবহ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায় ওই যুবকের। একটা সময় মৃত্য়ুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে অ্যাম্বুল্যান্স চালকও রোগীকে ফেলে পালান বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রোগীর কিডনির সমস্যা ছিল। পাশাপাশি করোনাতেও আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। পরিবারের লোকজন অ্যাম্বুল্যান্স চালককে নিগ্রহ করেছিলেন। এর জেরে তিনি পালিয়ে যান। তবে এব্যাপারে নির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে অ্যাম্বুল্যান্সে অক্সিজেন না পেয়ে ৪২ বছরের ওই যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সিলিন্ডারে কতটা অক্সিজেন আছে তা কেন আগাম দেখা হয়নি তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তবে ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা গিয়ে অনির্বাণের দেহ ফের জলপাইগুড়িতে ফেরৎ আনেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে অনির্বাণের পরিবার।