অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে বেশি ।
শুধু তাই নয়, বস্তি এলাকার মানুষ এবং তার বাইরের বাসিন্দাদের মধ্যেও এ ক্ষেত্রে পার্থক্য খুঁজে দেখা হয়। সেখানেও দেখা গিয়েছে অনেকটা পার্থক্য । সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে পজিটিভিটি বাড়ছে বস্তির বাইরের বাসিন্দাদের মধ্যে করোনার (Corona Virus) বিরুদ্ধে । আবার পজিটিভিটি কমেছে বস্তি এলাকার মানুষের মধ্যে কিছুটা হলেও ।
‘সেরো’ পজিটিভিটি পরীক্ষা চালানো হয় এই সমীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা নিয়ে । এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হয় নির্দিষ্ট একটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরির ক্ষেত্রে পজিটিভিটি কতখানি সেটাই । সে ক্ষেত্রে ধরা হয় ,পজিটিভিটি যত বেশি হবে অ্যান্টিবডিও তত বেশি তৈরি হচ্ছে বলে ।
এই সমীক্ষার ফল প্রকাশ্যে আনা হয়েছে ,বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের তরফে । সেখানে দেখা গিয়েছে, সার্বিকভাবে মহিলাদের ক্ষেত্রে পজিটিভিটি যেখানে ৩৭.১২ শতাংশ সেখানে পুরুষদের ক্ষেত্রে তা ৩২.০২ শতাংশ। গত বছর এই সমীক্ষার জন্য রক্ত সংগ্রহ করা হয় জুলাই থেকে ।
যেখানে পজিটিভিটি ছিল ৫৭ শতাংশ তা অনেকটা কমে গিয়েছে। এখন সেটা নেমে এসেছে প্রায় ৪৫ শতাংশে বস্তি এলাকার মানুষের মধ্যে । আর বস্তি এলাকার বাইরে থেকে যে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, এই সেরো পজিটিভিটি সেখানে দেখা যাচ্ছে এখন ২৮.৫ শতাংশ দেখাচ্ছে। আগে যা ছিল ১৮ শতাংশের মতো।
এই সমীক্ষা করার জন্য সেই সব মানুষের রক্তই নেওয়া হয়েছে যাঁরা টিকা নেননি। টিকা না নেওয়া অবস্থায় তাঁদের শরীরে কী পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে সেটাই খুঁজে দেখা হয়।
এবং টিকা ছাড়াই যদি এমন কোনও ভাবে অ্যান্টিবডি পাওয়া যায় তা অবশ্যই নতুন পথ দেখাবে ।
এখন এই অতিমারীর সময় এই ধরণের পদ্ধতিতে অনেক সুবিধা হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে শনাক্ত করাও সহজ।