পাঞ্জাবে চাকরির নামে জোর করে শোষণ করার মতন লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে। স্কুল ছাড়ার পর এক তরুণী চাকরি খুঁজছিলেন। এ সময় এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সে যাকে ভেবেছিল সাহায্যকারী, আসলে তার ভেতরে ভেতরে অন্য মতলব ছিল। সাহায্যের বিনিময়ে যা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তা শুনে পুলিশও হতবাক।
পাঞ্জাবের সাংরুরে চাকরি দেওয়ার নামে এক তরুণীকে জোর করে শোষণ করার ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে চাকরি না দিয়ে এক ব্যক্তি জোরপূর্বক মেয়েটিকে শোষণ করে। এছাড়াও আরো অনেক প্রলোভন দেয়। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
সাঙ্গারুরে বাস স্ট্যান্ডের কাছে একটি অফিস খোলা আছে। এখানে চাকরি দেওয়ার দাবি করা হয়। এমন ভাবেই দোকানের বড় বোর্ড দেখে ভুক্তভোগী এখানে পৌঁছান। দোকানের মালিকের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তিনি তাকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মোবাইল নম্বর নেন।
তুমি সুখী হও, বিনিময়ে আমাকে সুখী করো
পরের দিনই তার একটা ফোন আসে। ফোনে অনেক প্রশ্ন করার পর দোকানের মালিক বলে, “আমি তোমাকে সাংগরুর কলেজে ভর্তি করিয়ে দেব। আমি স্কুটিও কিনব। তুমি যা চাও আমি তোমাকে দেব। তুমি সব সময় খুশি থাকবে। এবং বিনিময়ে আমাকে খুশি করতে হবে।”
অচেনা লোকের এসব কথায় মেয়েটি অবাক হয়, পাশাপাশি বিরক্তও হয়। এর মধ্যে ওই ব্যক্তি বেশ কয়েকবার ফোন করেন। পরিবারের লোকজন মেয়েটির কাছে সমস্যার কারণ জানতে চাইলে তিনি পুরো বিষয়টি জানান। এ নিয়ে পরিবারের লোকজন থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে
মেয়েটির বাবা বলেন, “মেয়েটি সাংগরুরে গিয়েছিল এবং বাসস্ট্যান্ডের সামনে একটি দোকান ছিল, সেখানে ‘চাকরি চাই চাকরি’ লেখা বোর্ড ছিল। এ সময় ওই ব্যক্তি মেয়ের নম্বর নিয়ে এমন ঘটনা ঘটায়। আজ আমাদের মেয়ের সঙ্গে ঘটল, কাল যেন আর কারও সঙ্গে না হয় তাই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এই মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “চাকরির নামে একটি মেয়েকে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত এমন কিছু কথা বলেছেন যা খুবই লজ্জাজনক। মেয়েটির বক্তব্যের ভিত্তিতে একটি মামলা হয়েছে। দোকান মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরও তদন্ত করা হচ্ছে।”