সেনা অভ্যুত্থানের কারণে কি এবার গৃহবন্দী চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনিপিং? গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এমনটাই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। অবশ্য অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে সেই গুঞ্জনের। তারপরও বেজিং থেকে এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। এই নিয়ে কোনও কথাও বলেনি চীনা সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যম গুলি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরাও দ্বিধাবিভক্ত। ফলে চিনের এই মুহূর্তে রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে গুঞ্জন থামছে না।
সূত্রের খবর চিনের ৫৯ শতাংশ বিমানকে নাকি বিমানবন্দরে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে এসসিও থেকে ফেরার পর থেকে চিনের রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) প্রকাশ্যে দেখা মেলেনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অনেক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে চীনা সেনার গতিবিধি অনেকাংশে বেড়েছে। তাছাড়াও , সেনার বহু গাড়িকে বেজিংয়ের দিকে রওনা হতেও দেখা যায়। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে চিনের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে।
যদিও এমন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা যারা চিনের রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে নাড়াচাড়া করেন এই গুঞ্জনকে পাত্তা দিতে নারাজ। তাঁদের কথায়, সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে চিনে বা প্রেসিডেন্ট গৃহবন্দি রয়েছেন, এমন কোনও অকাট্য প্রমাণ এখনও মেলেনি। ফ্লাইট ট্র্যাকিং সাইটের একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন তাঁরা চিনা বিমান বাতিলের গুঞ্জন উড়িয়ে। তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে চিনের আকাশে অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে বিমানের ওঠানামা।
আদিল ব্রারর নামের এক চিনা বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, সাংহাই কর্পোরেশন অরগানাইজেশন সামিট থেকে ফিরে হয়তো শি জিনপিং কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তিনি বিমানের ওঠানামার তথ্যও শেয়ার করেছেন। এমন ভিডিও একইসঙ্গে তিনি পোস্ট করেছেন, যেখানে রোজকার মতোই কাজ করতে দেখা গিয়েছে চিনের শীর্ষস্তরের প্রশাসনিক কর্তাদের।
তাই এই গুঞ্জন কতটা সঠিক বা সত্যি তা এখনো বোঝা যাচ্ছে না। কোনও সঠিক প্রমান না পাওয়া অবধি এই গুঞ্জন কে পাত্তা দেওয়া যাচ্ছে না।